West Bengal Election: মীনাক্ষীর প্রচারে শ্রীলেখা, বাদশারা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর ভোটযুদ্ধে এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। ত্রিমুখী লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রার্থী হয়েছেন তরুণ মুখ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। বুধবার মীনাক্ষীর প্রচারে সঙ্গ দিলেন দুই টলি তারকা শ্রীলেখা মিত্র এবং বাদশা মৈত্র।

এর আগে বামেদের ব্রিগেডের সভা থেকে শুরু করে একাধিক কর্মসুচীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন দুই টলি তারকা। এবার নির্বাচনী ময়দানে পা মেলালেন তাঁরা। রোড শো করেন নন্দীগ্রামের বয়াল গ্রামে। দুই তারকারই মন্তব্য তাঁরা তারকা নন। তাঁদের কাছে তারকা মীনাক্ষী।

“মানুষ মীনাক্ষীকে দেখে ভরসা পাচ্ছেন। মানুষ মীনাক্ষীকে তৈরি করছে। আজ মীনাক্ষীর আলোয় আমরা আলোকিত”। জানালেন শ্রিলেখা মিত্র এবং বাদশা মৈত্র দু’জনেই।

এমনিতেই প্রচারে বেরিয়ে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন মীনাক্ষী। বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে মানুষের স্বতঃস্ফুর্ততা দেখা গিয়েছে বারবার। কিন্তু অতীতে নন্দীগ্রামের ঘটনা ভুলে গিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষ মীনাক্ষীর ওপর ভরসা রাখবেন?

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রামে ভাঙাবেড়ায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জনের। পরে সেই মামলা আদালতে গড়ায়। ৩৪ বছর ধরে বাম সরকারের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে বামেরা। সময়ের সঙ্গে বলীয়ান হয়ে ওঠে ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে দল বদল এবং হাওয়া বদলের জেরে নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে।

ঘরছাড়া বাম কর্মীদের অনুপস্থিতির জেরে নন্দীগ্রামে বামেদের প্রদীপের সলতে এখন নীভু নীভু। আর সেই বাতিকে আরও উজ্জ্বল করতে এবার মীনাক্ষীর হয়ে প্রচারে নামবেন আব্বাস সিদ্দিকি এবং মহম্মদ সেলিম।

আরও পড়ুনঃ West Bengal Assembly Election 2021- ভোটের আগে মুকুল রায়ের নিরাপত্তা বাড়ালো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

ঠিক এমন সময়েই ডিওয়াইএফআইয়ের সভাপতি মীনাক্ষী মুখার্জীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছে বামেরা। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে সাড়া পাচ্ছেন। মীনাক্ষীকে দেখে অনেকের প্রশ্ন, তবে কি ভোটটা দিতে পারব?

জোট নিয়ে আলোচনার সময়েই শোনা গিয়েছিল নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিতে পারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। কিন্তু প্রার্থী তালিকার ঘোষণার সময়েই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ওই কেন্দ্রে বুঝেশুনে প্রার্থী দিতে চাইছে সংযুক্ত মোর্চা।

আইএসএফের কাছ থেকে ওই আসন চলে যাওয়ার বিন্দুমাত্র মনঃক্ষুন্ন হননি আব্বাস। বরং একাধিক জায়গায় প্রচারে গিয়ে মীনাক্ষীর প্রসঙ্গ তুলে ধরছেন বারবার।

নন্দীগ্রামে এই মুহুর্তে যা হাওয়া সেখান থেকে হলদি নদীর হাওয়া বদল করে বামেরা কি ফিরতে পারবেন? শেষ বেলায় আব্বাস সিদ্দিকি এবং মহম্মদ সেলিমের মতো জনপ্রিয় নেতার উপস্থিতিতে সভায় মানুষের সমাগম কেমন হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

সম্পর্কিত পোস্ট