SSC : এস‌এসসির ভাবমূর্তি ধূলোয় গড়াগড়ি, আস্থা নেই আমজনতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এসএসসি ( SSC ) দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই ( CBI ) তদন্ত যত এগোচ্ছে ততোই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সেইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের ( Kolkata Highcourt ) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করছে আমজনতা। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল এই দুর্নীতির আকার।

শিক্ষক থেকে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ, এই দুর্নীতির জাল অনেক গভীরে বিস্তৃত। কিন্তু এই দুর্নীতির সূত্র ধরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের যাবতীয় রেপুটেশন ধুলোয় মিশে যাওয়ার জোগাড়। অথচ বাম জামানায় শিক্ষক নিয়োগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছিল এই এস‌এসসি।

এর মাধ্যমে প্রতিবছর রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলোয় বিপুলসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ হতো। শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের প্রধান ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছিল রাজ্যের এই স্বশাসিত সংস্থাটি। কিন্তু ২৭ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির জেরে এস‌এসসির প্রতি মানুষের আস্থা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার যোগাড়।

SSC : এস‌এসসির ভাবমূর্তি ধূলোয় গড়াগড়ি

অতীতে এসএসসিতে কোনও উপদেষ্টা কমিটি ছিল না। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়  ( Partha Chatterjee ) শিক্ষামন্ত্রী হ‌ওয়ার পর শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ( Santiprasad Sinha ) মাথায় বসিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেন। সেই উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশেই সম্পূর্ণ নিয়ম ভেঙে অযোগ্যদের অর্থের বিনিময় চতুর্থ শ্রেণির চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Bengal Business Summit : আন্তর্জাতিক শিল্প মেলারও আয়োজন করবে রাজ্য

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার‌ও তদন্ত করছে সিবিআই। আগামী দিনে এস‌এসসির আর‌ও বেশ কিছু মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। বেশ ভালোরকম জড়িয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। নিয়মবিরুদ্ধভাবে নিয়োগের দায়িত্বে থাকা এই উপদেষ্টা কমিটি শিক্ষামন্ত্রীর চেম্বারে বৈঠক করে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা আর কিছুদিনের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে এসএসসি মামলায় ডেকে পাঠানো হবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে।

এমনিতেই ২০১১ সালে তৃণমূল (TMC) বাংলার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কাজ থমকে গিয়েছে। নিয়মিত এসএসসি পরীক্ষা হয় না। এই পরিস্থিতিতে এই দুর্নীতির মামলা রাজ্যের সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।

একের পর এক এই ঘটনায় বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সে কুণাল ঘোষ যত‌ই বলুন না কেন এসব এক শতাংশের সমস্যা, তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে আমলাদের লাগামহীন দুর্নীতির জেরে।

সম্পর্কিত পোস্ট