লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্য বিজেপির
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিড সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকে মেট্রোরেল এবং লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাজ্য জুড়ে। লকডাউন না হলেও কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। যদিও এই মুহূর্তে ৫০ শতাংশ গণপরিবহন রাস্তায় নামার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য। তবে লোকাল ট্রেন কবে চালু করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।একই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে মেট্রো রেল পরিষেবাও।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি তুলেছে গেরুয়া শিবির। সরাসরি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে চিঠি লিখেছেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার সেই চিঠি রেলমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত লিখেছেন, বিধিনিষেধ উঠলেও রেলের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হয়নি। লোকাল ট্রেন চালু করলে সাধারন মানুষের অনেক সুবিধা হবে। সেইসঙ্গে জীবনধারণের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ যাতায়াত করছেন। তাদের ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি লোকাল ট্রেনের ওপর নির্ভর করে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের জীবন ধারনের গতি আসবে। রাজনৈতিক মহলের মতে বিজেপির তরফে সরাসরি এই চিঠি রেলমন্ত্রকে পাঠানোয় কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত আরো বাড়িয়ে তুলবে।
সম্প্রতি নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ জারি থাকবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বেসরকারি অফিস ও সরকারী অফিস ৫০ শতাংশ হাজিরা নিয়ে খোলা যাবে। সেক্ষেত্রে ১ জুলাই থেকে রাস্তায় সরকারি ও বেসরকারি বাস, অটো, টোটো চলাচলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
রায়ডাক নদী ভাঙনে নদীগর্ভে বহু জমি, প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা
অস্বাভাবিক পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাস মালিকরা পুরনো ভাড়ায় রাস্তায় বাস নামাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। দেড় মাস পর আজ চাকা গড়ালেও রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস ছিল না বললেই চলে। যান যন্ত্রণার শিকার হতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের।
এর আগে বিভিন্ন স্টেশনে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আমজনতা তারপরেই স্পেশাল ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবির মনে করছে লোকাল ট্রেন চালু করলে এই যাত্রীদুর্ভোগ কমানোর সম্ভবপর হবে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার মনে করছে লোকাল ট্রেন চালু করলে রাজ্যের বাড়তে পারে করোনা সংক্রমনের মাত্রা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সমস্যা মেটাতে ৫০ হাজার বাসের দরকার রয়েছে। বাসের ভাড়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। গ্রাম থেকে কলকাতার বাইরের লোক না এলে অফিস চালু হবে কি করে? ট্রেন যদি চলে তাহলে মান্থলি করে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবে। সেক্ষেত্রে বেশি ভাড়া দিতে হবে নায তাই সবার আগে উচিত সরকারের লোকাল ট্রেন চালু করা। এখন দেখার বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কি জবাব দেয় রেল মন্ত্রক।