পুরভোটে ৯৩ আসন সংরক্ষিত, তালিকা প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে সংরক্ষণের কারণে নিজেদের গড় হারাতে পারেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন চারজন মেয়র পারিষদ এবং দু’জন বরো চেয়ারম্যান।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এপিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে পারে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। তার আগে ৯৩ টি পুরসভায় সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। এতেই নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে শাসক দলের অন্দরে। নিজের এলাকা হারাতে চলেছেন প্রায় দশ জন তৃণমূল হেভিওয়েট নেতা।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে সংরক্ষণের কারণে নিজেদের গড় হারাতে পারেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন চারজন মেয়র পারিষদ এবং দু’জন বরো চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুনঃ তৈরি হয়নি লেভেল ক্রসিং, পিছিয়ে গেল টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ

নির্বাচন ক্মিশনের তালিকা অনুযায়ী ৩৩,৭৮, ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে ৫৮, ১০৭, ১১০, ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর ওয়ার্ড। সাধারণ মহিলাদের আওতায় রয়েছে ৩, ৬, ৯, ১২, ১৫, ১৮, ২১, ২৪, ২৭, ৩০, ৩৪, ৩৭, ৪০, ৪৩, ৪৬, ৪৯, ৫২, ৫৫, ৫৯, ৬২, ৬৫, ৬৮, ৭১, ৭৪, ৭৭, ৮১, ৮৪, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৬, ৯৯, ১০২, ১০৫, ১০৯, ১১৩, ১১৬, ১১৯, ১২২, ১২৫, ১২৯, ১৩২, ১৩৫, ১৩৮ ও ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ড।

কলকাতা পুরসভার তপশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে আটটি ওয়ার্ড। ৩৩, ১২৭, ৭৮ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে।

সংরক্ষণের কারণে বাদ পড়েছেন ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেয়র স্বপন সমাদ্দার। এর আগে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু মহিলা সংরক্ষণের আওতায় পড়েছে ওই ওয়ার্ডটিও। ৯০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড হারালেন তৃণমূল কাউন্সিলর মেয়র পারিষদের দায়িত্বে থাকা রতন দে। বাদ পড়েছে ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেয়র দেবব্রত মজুমদারেরও।

সংরক্ষণের কোপে নিজের গড় হারাতে হয়েছেন ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত কুমার ঘোষকেও। বাদ পড়েছেন ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য। যদিও গড় হারালেও ওয়ার্ড জেতানোর দায়িত্ব তাঁদের কাঁধেই দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

লোকসভা নির্বাচনের পর “দিদিকে বলো” কর্মসূচীর মাধ্যমে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে তৃণমূল। ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা নির্বাচন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সেমিফাইনাল। তাই পুরভোটেই দাগ কাটতে চাইছে বিজেপি। দফায় দফায় একাধিক ইস্যুতে পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোটেই ঠিক হয়ে যাবে রাজ্য রাজনীতির অঙ্ক। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সম্পর্কিত পোস্ট