বেআইনি বাড়তি ভাড়া নিয়ে সরকার ক্ষুব্ধ, বাস মালিকদের চিঠি
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাস মালিকদের একাংশের যাত্রীদের কাছ থেকে যথেচ্ছ ভাড়া আদায়ের প্রবণতায় লাগাম টানতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সরকারি নির্দেশ ছাড়াই রাজ্যের বিভিন্ন বাস রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে সম্প্রতিককালে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর বাস মালিক সংগঠন গুলিকে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। বে আইনি ভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট বাস মালিকের বিরুদ্ধে মোটরযান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
করোনা ও তার জেরে চলা বিধি নিষেধের আবহে সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাসভাড়া এখনই বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মতি দেন নি। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, কয়েকটি বেসরকারি বাস রুট নিজেরাই ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছে।
অনেক সময়েই নির্ধারিত ভাড়ার দেড় থেকে দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছে।সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে এই বিষয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। তারপরই মন্ত্রী নিদান দেন, বাড়তি ভাড়া নিলে টিকিট সহ সংশ্লিষ্ট রুটের বাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরিবহণ দপ্তরের এই কড়া চিঠিকে মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ হিসেবেই দেখছেন বিভাগীয় কর্তারা। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। অবিলম্বে ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সালের আরটিএ বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরানো চার্ট মেনে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে।
অন্যথায় মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের সমস্ত বাস মালিক সংগঠনই সরকারের অবস্থানের পাশে দাড়িয়েছে।তারা জানাচ্ছেন ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে সাংগঠনিক স্তরে কোনোও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। কেউ যদি বেশি ভাড়া আদায় করে তবে সেটা একান্তই তার সিদ্ধান্ত। এই বেআইনী কাজ কে তারা কখনোই সমর্থন করছেন না।