করোনা আক্রান্ত রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ফের রাজনৈতিক মহলে থাবা বসাল করোনা ভাইরাস। এবার কোভিড আক্রান্ত বরাহনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়। বুধবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা নাগাদ তাঁকে ফোন করে স্বাস্থ্য সচিব ফোন করেন জানান তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। একথা জানা মাত্রই চিকিত্স কদের পরামর্শ চান মন্ত্রী।

তাঁদের পরামর্শ মেনে রাতেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তাঁর বাড়ির লোকেদের এই মুহূর্তে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।

বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “আমার উপসর্গ নেই। কিন্তু চিকিত্সনকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।” মঙ্গলবার রাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।

এদিকে বৃহস্পতিবারই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন রাজ্যের আরও এক বিধায়ক। হাওড়ার সঞ্জীবনী হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটের। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ফলতার তিনবারের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ।

তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন এই প্রয়াত নেতা। তারপরে করোনায় মারা যান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস। এখনও পর্যন্ত শাসক দলের তিন বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। মারা গিয়েছেন পানিহাটি পুরসভার প্রশাসক স্বপন ঘোষ।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bjp-leader-anupam-hazra-affected-covid19/

দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনা ভাইরাসে। অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। বিধায়ক জটু লাহিড়ী, তোরাফ হোসেন মন্ডল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি। গত শনিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

চিকি‍ৎসক সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তাপস রায়ের দেহে কোনও উপসর্গ নেই। তবে বয়সের কথা মাথায় রেখে হাসপাতালে ভর্তিরই পরামর্শ দেন চিকিত্সেক।

তাঁর পরামর্শমতোই রিপোর্ট জানার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হন তাপস রায়।এদিকে, আনলক ফাইভের শুরুতে বাংলায় সামান্য কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। বাড়ছে সুস্থতার হার। যা আমজনতাকে আশার আলো জোগাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট