কালীপুজোতে ‘গ্রিন বাজি’ তে ছাড়, সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্য দূষণ পর্ষদ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক :কোভিড কালে (covid) কালীপুজো ও দীপাবলিতে (Kalipujo & Dipaboli) বাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।

সেই মামলার রায় আসার আগেই বাজি পোড়ানোর বিষয়ে একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি করল রাজ্য দূষণ (pollution) নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । পরিবেশবান্ধব ছাড়া যেকোনো ধরনের বাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

পর্ষদের সদস্য সচিব রোশনি সেন (Roshni)মঙ্গলবার নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, বাজি ফাটানোর ফলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক নির্গত হয়ে বাতাসে মিশে বাতাসকে দূষিত করে।

এই রাসায়নিক বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা কোভিড আক্রান্তদের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই বাতাসে দূষণ কমাতে এরাজ্যে শুধুমাত্র গ্রীন ক্র্যাকার্স বা পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো যাবে।

দীপাবলি উৎসবে রাত্রি আটটা থেকে দশটা এবং ছট পূজার দিন সন্ধ্যে ছটা থেকে আটটা অবধি দু’ঘণ্টা বাজি পোড়ানো যাবে। পাশাপাশি আগামী দিনে ক্রিসমাস (christmass) এবং বর্ষবরণ উৎসবে রাত্রি এগারোটা পঞ্চান্ন থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ৩৫ মিনিট এই বাজি পোড়ানো যাবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।

এছাড়া অন্যান্য উৎসবের ক্ষেত্রেও জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং শহরাঞ্চলে নগরপালের অনুমতি নিয়ে শুধুমাত্র দু’ঘণ্টার বেশি বাজি পোড়ানো যাবেনা। কলকাতাসহ (kolkata) জেলাগুলিতে অবিলম্বে এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং শহরের ক্ষেত্রে নগরপালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ দূষণের কথা ভেবে আতসবাজি বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুরো বন্ধ না করে কম শব্দের বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাযবসায়ীরাই বাজি বিক্রি করতে পারবেন।গত বছর করোনা আবহে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরো নভেম্বর মাস জুড়েই বাজি কেনা, বিক্রি ও ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই ছিল এই নির্দেশ।কালীপুজো, দীপাবলির পাশাপাশি ছট পুজোতেও বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (kolkata highcourt)।

সম্পর্কিত পোস্ট