ছাত্রের অভাব না শিক্ষকের? একের পর এক বন্ধ হচ্ছে প্রাথমিক স্কুল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পড়ুয়া অভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক সরকারি প্রাথমিক স্কুল। এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ছয়টি স্কুল বন্ধ হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলের শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরেই দু’টি, শহর লাগোয়া দু’টি এবং হিলিতে একটি স্কুলে বর্তমানে তালা ঝুলছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলগুলিতে ছাত্র সংকট দেখা দিয়েছিল।
কবিগুরু গড়তে চেয়েছিলেন আদর্শ গ্রাম, বীরভূম হয়েছে বোমা-গুলি ও গণহত্যার জেলা
জানা গেছে, জেলার বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলিতে কয়েক বছর ধরেই শিক্ষার্থীদের অভাব দেখা দিয়েছিল। কোনও স্কুলে দুই তিন জন আবার কোন স্কুলে ছাত্র শূন্য ছিল। এছাড়াও কোন কোন স্কুলে এই শিক্ষাবর্ষে একেবারেই ছাত্র ভর্তি হয়নি। সেই স্কুলগুলির শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলির মধ্যে বালুরঘাট শহরের চকভৃগু প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সাহেব কাছারি এলাকার নেতাজি এফপি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এসিকে শিক্ষামহলের একাংশের দাবি, বালুরঘাট শহরের মধ্যেই যত্রতত্র গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি স্কুল এবং সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যাও বেশি রয়েছে। যার ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কোথাও শিক্ষকের অভাব, স্কুলের বিল্ডিং, ইলেক্ট্রিক সহ নানা সমস্যা রয়েছে।
এবিষয়ে বন্ধ হওয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আনন্দ সেন ও সেফালি সরকার জানান, তাদের বাড়ির পাশে ময়ামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলে ২০১৯ সাল থেকেই পড়ুয়া নেই। শহর সংলগ্ন এই সব এলাকার স্কুলের পরিকাঠামো খুব একটা ভাল না হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে বালুরঘাটের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে পড়াচ্ছেন। তাদের এই স্কুল চালু হোক এটাই দাবি৷
এবিষয়ে এবিপিটিএ-র জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এমন পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনিক উদাসীনতায় মূল কারণ। সঠিক পরিকাঠামো ও নজর থাকলে স্কুল গুলি বন্ধ হত না। রাজ্যে মোট ৫৬ টি স্কুল বন্ধ হয়েছে।
অন্যদিকে এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন,এই জেলায় এই শিক্ষাবর্ষে ছয়টি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে একটিতে নতুন করে ছাত্র ভর্তি করিয়ে তা আমরা পুনরায় খুলেছি। আগামী শিক্ষাবর্ষে যাতে আরও স্কুল চালু করা যায়, তার জন্য আমরা স্কুলের এলাকায় গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলব।