কিছুক্ষণের মধ্যে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী, শহরজুড়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরে উপস্থিত হবেন প্রধানমন্ত্রী। একদিকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠছে শহর কলকাতা। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের আগেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছে একাধিক ছাত্রযুব সংগঠন।
শহরের একাধিক প্রান্তে চলছে ‘নরেন্দ্র মোদি গো ব্যাক’ শ্লোগান। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শহরজুড়ে ভরে গিয়েছে একাধিক পোস্টার। পোড়ানো হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল। শুধুমাত্র কালোপতাকা নয়, কালো বেলুন আকাশে উড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিরোধীরা।
গত ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাশ হয়ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ঘটনার পর থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত। টানা একমাস ধরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা। শনিবার সকালে লেনিন সরণীতে জমায়েত হন নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। কলেজস্ট্রিট, ধর্মতলা সহ শহরের একাধিক প্রান্তে শুরু হয়েছে মিছিল।
বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিয়েছে একাধিক ছাত্র সংগঠন। দুপুর দেড়টা থেকে রাজভবন অবধি মিছিল যাওয়ার কথা রয়েছে। মিছিল আটকাতে তৎপর প্রশাসন। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। গোপন রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসুচী।
যদিও সূত্রের খবর, দুপুর ২ টো নাগাদ দিল্লি থেকে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। যদিও তারপর তিনি গাড়িতে যাবেন নাকি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উপস্থিত হবেন কি না জানা যায়নি।
এরই মধ্যে মুখ্যম্নত্রীকে চিঠি পাঠালো চার বাম ছাত্র সংগঠন। ভারতের ইতিহাস, সাম্প্রদায়িক ঐক্য, সম্প্রীতিকে গুলিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠনগুলির। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানো হচ্ছে স্কুল-কলেজগুলিতে। এদিন বাম ছাত্র সংগঠনগুলির তরফে চিঠি দেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, এআইএসএফ রাজ্য সম্পাদক সৈকত গিরি, এআইএসবি রাজ্য সম্পাদক সৌম্যদীপ সরকার এবং সিএসইউয়ের রাজ্য সম্পাদক নওফেল মহম্মদ সফিউল্লাহ।