রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক কাঠামোয় বদল, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল শুভেন্দুকে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারীকে সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক কাঠামো গত বছরই ঢেলে জানিয়েছিল দল। দিব্যেন্দু রায়, সৌম্য ঘোষ এবং তপন গড়াইকে সংগঠনের আহ্বায়ক করে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একটা কোর কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়। তবে মূল দায়িত্বে ছিলেন এই তিন নেতাই। আর সংগঠনের মেন্টর পদে বসিয়ে সামগ্রিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।
সম্প্রতি সেই কাঠামোও ভেঙে দিল তৃণমূল। ফেডারেশনের সর্বোচ্চ স্তরে ঢালাও রদবদল করা হল। আর সেই রদবদলের পথ ধরে ফেডারেশনের মাথা থেকে নীরবে প্রস্থান ঘটল শুভেন্দু অধিকারীর।
দলীয় সূত্রে খবর গত সোমবার রাতের এক বৈঠকে ফেডারেশনের কাঠামো রদবদল করা হয়। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সে দিন তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসেন কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাদের নিয়ে। সে বৈঠকে দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে ভাষণ দেন।
চিনকে ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ বিঘ্নিত না হয়, নজর মুখ্যমন্ত্রীর
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে তৃণমূলের সংগঠনকে আরও মজবুত করার বার্তা দেন মমতা। সেই লক্ষ্যে সংগঠনের খোলনলচে বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকেই। ফেডারেশনের যাবতীয় কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।
এখন সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিব্যেন্দু রায়ের উপরে। তাঁর নেতৃত্বেই রাজ্য এবং জেলা স্তরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শীঘ্রই নতুন করে গঠিত হবে বলে স্থির হয়েছে।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে দিব্যেন্দু রায় বলেন, সংগঠনে কাউকে ব্রাত্য হতে দেবেন না, সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা হবে। সৌম্য ঘোষ এবং তপন গড়াইকে আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে যে ভাবে শুধু দিব্যেন্দুকে রাখা হয়েছে, তার জেরে কোনও অংশের মধ্যে ক্ষোভ যাতে না বাড়ে, সেটুকু নিশ্চিত করতেই ‘সবাইকে নিয়ে চলা’-র কথাই বার বার বলেছেন দিব্যেন্দু। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর অপসারণ নিয়ে তিনিও কিছু বলেন নি।