জলমগ্ন এলাকা, আসবেন না পুরোহিত; অশোকনগরে বেশীর ভাগ ঘরে বন্ধ লক্ষ্মীর আরাধনা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কিছুদিন আগেই মহামায়াকে বিদায় জানিয়েছে বাঙালি। এখনও কাটেনি বিজয়া দশমীর রেশ। কিন্তু দেবীপক্ষ শেষ হতেই গোটা রাজ্য মেতে উঠেছে ধনদেবীর আরাধনায়। ‘দোল পূর্ণিমা নিশি, নির্মল আকাশ, মৃদুমন্দ বহিতেছে মলয় বাতাস…।’
এই মন্ত্রেই মুখরিত হয়ে আছে চারপাশ। আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Laxmi Puja)। হিন্দু শাস্ত্র মতে, কোজাগরী শব্দের অর্থ ‘কে জেগে আছে’। মনে করা হয়, যারা আজ সন্ধ্যেবেলায় লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করে সারারাত জেগে থাকবেন তারাই দেবীর কৃপা লাভ করবেন, তাঁদের গৃহে সারা বছর অধিষ্ঠান করবেন দেবী। ঘরে ঘরে চলছে মায়ের পুজোর প্রস্তুতি।
অশোকনগর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণপল্লী এলাকায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জলমগ্ন শতাধিক পরিবার । বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা তাদের কেটেছে এই জলমগ্ন অবস্থাতেই । অনেকেই দুর্গা ঠাকুরের মুখ দেখতে পর্যন্ত দেখতে পারেনি ।
দুর্গা পুজোর শেষে লক্ষ্মী পুজো। হিন্দু বাঙালির ঘরে ঘরে ধনদেবীর আরাধনা হলেও এই তরুণ পল্লী এলাকায় বেশিরভাগ ঘরেই হবে না লক্ষ্মী পুজো । পুরো রাস্তা জলমগ্ন ।কারো কারো ঘরে পর্যন্ত জল ঢুকে গিয়েছে। জল জমে থাকায় সাপ, পোকা-মাকড়ের উৎপাত দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি
পাশাপাশি বাড়ছে রোগব্যাধি। লক্ষ্মী পুজো দেওয়ার জন্য পুরোহিত মশাইকে একাধিকবার অনুরোধ করেছে তারা কিন্তু এই জল পেরিয়ে পুজো দিতে আসতে পারবে না কোন পুরোহিত এমনটাই জানালেন জলবন্দি এলাকার সাধারণ মানুষ। তাই এ বছর ওই এলাকায় কোন বাড়িতেই হচ্ছে না লক্ষ্মী পুজো।
দুদিন আগে অবশ্য এলাকার বিধায়ক ও পৌর প্রতিনিধিরা জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।তবে কত দিনে জল নামানো সম্ভব হবে তা স্পষ্ট নয় ।