সুনীল-শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে ওম বিড়লাকে ফোন সুদীপের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগেই চিঠি দিয়েছিলেন। এ বার শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের প্রশ্নে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে ফোন করলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সুদীপ ফোন করেন স্পিকারকে।

পরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার সঙ্গে স্পিকারের কথা হয়েছে। আমি ওঁকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। উনি জানিয়েছেন, অনেক দিন তিনি সংসদে যেতে পারেননি। বৃহস্পতিবার উনি সংসদ ভবনে যাবেন। সেখানে গিয়ে নথিপত্র খতিয়ে দেখবেন।’

গত ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান সাংসদ সুনীল মণ্ডল। আবার ভোটের আগে ও ভোট চলাকালীন মেদিনীপুরের শাহ কিংবা মোদির সভায় হাজির হয়েছিলেন পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগদেন শিশির অধিকারী।

তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধেই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করতে তিনবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৪ জানুয়ারি স্পিকারকে প্রথম চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ। তারপর ২ মে ভোটপর্ব মিটে যেতে গত ১২ মে আবার সুনীলের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দেন সুদীপ।

একই ভাবে দলত্যাগ-বিরোধী আইনেই শিশিরেরও সাংসদপদ খারিজের দাবিতে ১৭ ই মে স্পিকারকে চিঠি দেন সুদীপ। কিন্তু তিন চিঠির কোনও উত্তর আসেনি। তাই আজ ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে ফোন করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

গতকাল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, তারা আইনি পথে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্পিকার পদক্ষেপ না করলে অন্য ব্যবস্থাও নেবেন। তবে এতে স্পিকারের কিছুই যায় আসবে না। হয়ত দলীয় চাপে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না ওম বিড়লা। তাই আইনি পথে গেলে হয়ত সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে সুনীল ও শিশিরের।

প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে সাবালককে, নাবালক নয়ঃ বিপর্যস্ত দীঘা ঘুরে বিস্ফোরখ অভিষেক

এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ‘আমার ধারনা, স্পিকার অন্তত ওই দুই সাংসদকে ডেকে জানতে চাইবেন, তাঁরা কোন দলে রয়েছেন। তৃণমূল না বিজেপি? এটুকু তো উনি করতেই পারেন। করা উচিত। কোনও পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে আমি আবার কিছুদিন পর ফোন করব স্পিকারকে।’

এদিকে, তৃণমূল সংসদীয় দলের এমন পদক্ষেপ নিয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল-ত্যাগী সাংসদ সুনীল। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনও এ বিষয়ে কিছুই জানি না। খোঁজখবর নিয়েই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব।’

তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমি যথাসময়ে আমার কাজ করব। এখন তো করোনা চলছে। আমি নিজেও একটু অসুস্থ। তাই এখনই এ নিয়ে কিছু বলতে পারছি না।’

অন্যদিকে করোনার কারণে শিশির বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। তার পুরো মাত্রায় সুযোগ নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এদিন এভাবেই এবারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এর আগে অনেক পদ ছেড়েছেন, প্রয়োজনে সাংসদ পদ ছেড়ে দিতেও তিনি পিছপা হবেন না।

সম্পর্কিত পোস্ট