অবিলম্বে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাম-কংগ্রেসের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রের কৃষি এবং শ্রমিক আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল বাম-কংগ্রেস। দেশজুড়ে সমস্ত কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে হচ্ছে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলি মিটিং, মিছিল করছে। এই অবস্থায় বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে কি অসুবিধা? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
এছাড়াও ওই চিঠিতে বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার আনা কৃষি এবং শ্রম আইন সারা দেশের মতো রাজ্যের কৃষক এবং শ্রমিকদের ওপর দুর্যোগ এনে দিয়েছে। উদাহরণ হিসাবে পাঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, দিল্লি, কেরালার নাম চিঠিতে তুলে ধরা হয়। যারা কেন্দ্রের নতুন আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাবনা ও আইন পাশ করিয়েছে। তাই এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় জরুরী আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য অধিবেশন ডাকার জন্য চিঠি লিখেছেন বাম এবং পরিষদীয় প্রধান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জরুরী অধিবেশন ডেকে বিধানসভায় কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা পাশ করান কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সেখানে বিরোধীপক্ষ কংগ্রেসের পূর্ণ সমর্থন পান তিনি। এর আগে পাঞ্জাবেও কৃষক আইনের বিরুদ্ধে পাশ হয়েছে প্রস্তাব।
আরও পড়ুনঃ সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সৌমেন্দু
একইসঙ্গে চিঠিতে দুই পরিষদীয় দলনেতা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একাধিক সভা থেকে নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন, যার অনুমোদন বিধানসভার রাজ্য বাজেটে নেওয়া জরুরী বলে দাবী করেছেন বিরোধী পক্ষ। একইসঙ্গে এই ঘোষণাগুলিকে সুনিশ্চিত করতে অধিবেশনের আহ্বান জানানোর আর্জি জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী এবং আবদুল মান্নান।
সম্প্রতি রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত একেবারে চরমে উপস্থিত হয়েছে। এমনকি রাজ্যপালের অপসারণের দাবীতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারক জমা দিয়েছে তৃণমূল। সেবিষয়েও আলোচনার জন্য বিধানসভার অধিবেশনের ডাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বাম এবং কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা।
এর আগেও একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। চলতি অধিবেশন যেহেতু মুলতুবী ঘোষণা করা হয়েছে, তাই অধিবেশন পুনঃআহবান করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন উভয়পক্ষ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ইতিমধ্যেই একাধিক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন একাধিক বিধায়ক। অধিবেশন শুরু হলেই আস্থা ভোট চাইবে বাম-কংগ্রেস। তাই জল মাপতেই বিধানসভা ডাকতে চাইছে না তৃণমূল।