দু’দফায় রাজ্য সভাপতি পদে থেকেও সংগঠনে ব্যর্থ দিলীপ, রাজ্য সভাপতি সুকান্তেই ভরসা BJP-র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আচমকা বড় রদবদল গেরুয়া শিবিরে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারিত দিলীপ ঘোষ। সে জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে রাজ্য সভাপতি হিসেবে মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। জল্পনা বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল কাকে আনা হতে পারে দিলীপ ঘোষের পরিবর্তে। অবশেষে আচমকাই সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুকান্ত মজুমদারকে প্রাথমিকভাবে রাজ্য সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেন। এরপর তাঁকে নির্বাচিত হতে হবে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায়।
প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে দলের অন্দরে শুভেন্দু বনাম দিলীপ ঠান্ডা লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গিয়েছে। একথা স্বীকার করে নিয়েছেন দলের অনেক কর্মী সমর্থকরাই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলায় গেরুয়া শিবির বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির বিপর্যস্ত হওয়ার দায়ে অনেকেই আঙুল তুলেছেন দিলীপ ঘোষের দিকে।
মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টি কমলেও ফের রবিবার নিম্নচাপের ভ্রুকুটি
তার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা তুলে ধরছেন দিলীপ ঘোষের কথাবার্তা এবং তাঁর ব্যবহারকে। যেভাবে নির্বাচনী প্রচারে উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করতে চেয়েছিলেন তিনি ভালোভাবে নেয়নি আমজনতা। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র দলত্যাগের অন্যতম কারণ দিলীপ ঘোষ। কারণ একাধিকবার বাবুল বনাম দিলীপ দ্বন্দ্ব সাংবাদিক শিরোনামে উঠে এসেছে।
বিজেপির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মী-সমর্থকদের একাংশই চাইছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে এমন কাউকে আনা হোক যিনি রাজনৈতিক পরিপক্কতা বা ওজনে শুভেন্দু অধিকারীর থেকে কম। এতে বিরোধী দলনেতা হিসেবে যেমন দাপট থাকবে শুভেন্দুর, তেমনি রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন।
২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আঠারোটি সিট দখল করেছিল বিজেপি। তাঁর কারিগর ছিলেন মুকুল রায়। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি দলত্যাগ করে তৃণমূলের ফিরে আসেন। তারপর থেকেই বিজেপিতে ক্রমশ ভাঙ্গন শুরু হয়। তবে মুকুল রায় চলে আসার পর বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা ঠিক কতখানি তা জলের মত পরিস্কার হতে শুরু করেছে।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দীর্ঘ দু’দফায় বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে থাকার সত্বেও দলের এই ভাঙ্গন ঠেকাতে কেন ব্যর্থ হলেন দিলীপ ঘোষ? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিনি যেভাবে উস্কানি মূলক মন্তব্যের মাধ্যমে ভোকাল টনিক দিয়ে বিজেপির কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করতেন তা কি ডাহা ফেল করে গেল?