আমফান বিধ্বস্ত বাংলাকে পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত দু’লাখ পয়ত্রিশ হাজার মানুষ: মমতা
রাজ্যকে পুনর্গঠনের জন্য এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ২০০ জন মানুষ কাজ করছে। সরকারের দেওয়া এই তথ্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক, সরকার ও প্রশাসন নীরবে তার কাজ করছে।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড়ের আমফান বিধ্বস্ত রাজ্যে বিরোধীরা যখন সমালোচনায় ব্রতী হয়েছে, ঠিক তখন সরকার ব্যস্ত উদ্ধারকাজে। এই উদ্ধারকাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার কতটা সিরিয়াস তা বোঝা গিয়েছে সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং প্রশাসনের ইনভলভমেন্টে।
রাজ্যকে পুনর্গঠনের জন্য এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ২০০ জন মানুষ কাজ করছে। সরকারের দেওয়া এই তথ্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক, সরকার ও প্রশাসন নীরবে তার কাজ করছে।
সোমবার ঈদ উপলক্ষে রাজ্যে ছুটি থাকলেও এদিন এক প্রেস বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, লাখ লাখ রাজ্য সরকারি কর্মচারী, পুলিশ, আর্মি, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ওড়িশা সরকারের কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যারা ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযােগ ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে উদ্ধারকাজ খাবার ও জল সরবরাহ সঠিক করার কাজ করছেন তাদের প্রত্যেককে স্যালুট জানাচ্ছি। এরা রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ কাটা থেকে শুরু করে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, পরিকাঠামাে ঠিক করে তােলা, সর্বোপরি বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে সবকিছুকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন। এদের নিরলস পরিশ্রমের জন্যই ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ের পরেও এই মুহূর্তে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার ৮০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
দুর্গত মানুষদের উদ্ধারকাজে মুখ্যমন্ত্রীকে আরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন অধীরের
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে শহরাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা শুরু হয়েছে। বাকি পরিষেবাও খুব শীঘ্রই শুরু হবে । সকল গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, পানীয় জল সরবরাহ ইউনিট, সেচ ও নিকাশির পাম্পিং ব্যবস্থা, পাওয়ার সাবস্টেশন গুলি সব ক্রমে স্বাভাবিক হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত না বাংলার পরিস্থিতি আগের মত স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ এরা এভাবেই কাজ চালিয়ে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে এটাও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এর মত একটা বড় যুদ্ধ। তিনি এই যুদ্ধেও সকলের সহযােগিতা চেয়েছেন।
সাধারণ মানুষের অবগতির জন্য এই উদ্ধার কাজ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারে কত মানুষ যুক্ত আছেন তার একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন। এই তালিকা অনুসারে, রাজ্য সরকারের প্রায় সব দফতরের অসংখ্য কর্মী , পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ চালাচ্ছেন ।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারে বিদ্যুৎ দফতরের ১৫ হাজার, এসডিআরএফ ও বিপর্যয় মােকাবিলা দফতরের ৮০০ জন, দমকল দফতরের ৭০০ জন, সিভিল ডিফেন্স এর ৩ হাজার জন, রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ নিয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার জন, সেচ দফতরের ৪ হাজার জন, পূর্ত দফতরের ১ হাজার ৫০০ জন, পিএইচই এর ৪ হাজার জন, কৃষি দফতরের ৫ হাজার জন, জেলা প্রশাসনের ৫০ হাজার জন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও ২৫ হাজার জন এই মুহূর্তে কাজ করছেন ।
এরপরেও সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। রাজনৈতিক মন্তব্য, শোনা যাচ্ছে তাদের কাছ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী সব বিবেচনা করে মানুষের উপর বিচারের ভার দিয়েছেন।