ত্রিপুরায় BJP ছেড়ে CPIM যোগদানের হিড়িক
মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই নেমেছে সমর্থক ধস
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় শাসক দল বিজেপি সমর্থকদের দলত্যাগের হিড়িক শুরু হয়েছে। কোথাও টিএমসি তো কোথাও প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমে যোগদান শুরু হয়েছে।
বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরে বিজেপি সমর্থকদের দলত্যাগ যেমন হচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রেও বিজেপি ত্যাগের খবর আসছে।
ধনপুর থেকে বারবার নির্বাচিত হচ্ছেন মানিকবাবু। গত বিধানসভা ভোটে টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকার পড়ে যায়। সরকার গড়ে বিজেপি-আইপিএফটি জোট। সেই ভোটেও মানিক সরকার ধনপুর থেকে জয়ী হন। অভিযোগ, গণনার দিন তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয় বিজেপির তরফে। এ নিয়ে দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়েছিল।
শুধু ধনপুর নয়, রাজ্যের সর্বত্রই বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে ধস নামতে শুরু করেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কেন্দ্র বনমালীপুরেও বিজেপির বহু সমর্থক দলত্যাগ করবেন বলেই খবর।
ইতিমধ্যে পার্বত্য ত্রিপুরার কেন্দ্রগুলিতে বিজেপি বিলীন। যদিও এই এলাকায় সিপিআইএমের সমর্থনে ধস গত বিধানসভায় নেমেছিল। সম্প্রতি উপজাতি স্বশাসিত পরিষদ ভোটে শাসক ও বিরোধী দল খড়কুঁটোর মতো উড়ে গিয়েছে। নতুন তল তিপ্রা মথা উঠে এসেছে। বিজেপি জোট শরিক আইপিএফটির সমর্থনে বিপুল ধস নেমেছে।
পাহাড় নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা মেটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কেন্দ্র
রাজ্য বামফ্রন্টের অন্যতম নেতা প্রাক্তন সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজাতি এলাকায় নতুন করে সংগঠন চাঙ্গা করতে মরিয়া সিপিআইএম। জীতেন্দ্রবাবু বিজেপি, আইপিএফটি থেকে দল ভাঙাচ্ছেন এমন ছবি প্রায়ই ত্রিপুরা জুড়ে ভাইরাল হচ্ছে।
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে সংগঠন পোক্ত করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে ঘোরা নেতা মন্ত্রীদের টেনে নিয়ে সরকার ফেলে দিতে পারেন। তবে গণতন্ত্রের খাতিরে সরকার তার পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় থাক।