কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত একমাসের বেশী সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন জারি রেখেছেন কৃষকরা। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কৃষকরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, আদালত কখনোই আন্দোলনের কন্ঠরোধ করবে না। সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে আমরা হতাশ। আপনারা আইন কয়ার্যকর বন্ধ করুন আর নাহলে আইন কার্যকর করুন। এর মধ্যে আহংকারের কি আছে?

এবিষয়ে সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে দ্য কোয়ারি। তিনি জানিয়েছেন, এখনও অবধি সুপ্রিম কোর্টের যা মন্তব্য তা কৃষকদের জন্য ইতিবাচক। তবে আদালত কি রায় দেয় তা দেখেই পরবর্তী কালে কৃষকরা বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যদি কৃষি বিল প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় আদালত, তাহলে আদালতের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানাবেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলালের সভার আগে কৃষকদের সঙ্গে হরিয়ানা পুলিশের সংঘর্ষ

এদিন কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন নিয়ে মামলা চলাকালীন কড়া মন্তব্য করতে দেখা যায় সুপ্রিম কোর্টকে। মমলা চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, এই মুহুর্তে যা চলছে তাঁর জন্য আমরা সকলেই দায়ী। আমরা আমাদের হাতে কোনও আঘাত বা রক্তের চিহ্ন চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে না কেন্দ্র এবিষয়টিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে। আজও আমাদেরকেই একটা পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনকি কেন্দ্রের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

এদিন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পিএস নরশিমা। তিনি জানিয়েছেন, এই আইন কৃষকদের জন্য লাভবান হবে। দেশের একাধিক কৃষক সংগঠনগুলি তাই মনে করে। আদালতের কোনও নির্দেশের আগে আমাদের কথা আগে শোনা দরকার। পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, যদিও আপনার মন্তব্যের বৈধতা রয়েছে, কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান মিলবে না।

কৃষকদের আন্দোলনের জন্য এটি ঐতিহাসিক স্থান। আমরা অসহায় আমাদের সরকারকে দেখানো দরকার আমরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা সকলেই দেখেছি রাজ্যসভায় এই আইন পাশ হওয়ার সময় কি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আদালতে আন্দোলনরত কৃষকদের পক্ষে জানান আইনজীবী দ্যুষন্ত দাভে। পাল্টা অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ১৫ তারিখের বৈঠক অবধি আপনারা অপেক্ষা করতে পারবেন?

যদিও সোমবারই আদালতকে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার অনুরোধ জানান আইনজীবী নরশিম্মা। ১৫ তারিখ অবধি অপেক্ষার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের তরফে এও বলা হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে প্যারেড দেখা জন্য সকলকে দিল্লিতে স্বাগত। কিন্তু যদি লক্ষ মানুষ দিল্লির ভিতরে প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে অশান্তি হতে পারে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে। যদিও এই বিষয়টি পুলিশের দায়িত্ব বলে জানিয়েছে আদালত।

সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ প্রয়াস করছি। কিন্তু বেশ কিছু নেতারা আছেন যারা বৈঠকে চোখ কান বন্ধ করে রাখেন। পাল্টা প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এবিষয়ে কিছু বলতে পারব না। সলিসিটর জেনারেল বলেন, আমরা আমাদের সেরাটা করেছি। আদালতের তরফে বলা হয়, কিন্তু সেরকম কিছুই দেখা যাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট