শতাধিক সংক্রমিত এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট এবং মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে নজরদারী প্রশাসনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যে সব জেলায় করোনা সংক্রমণের মাত্রা এখনও ১০০–র বেশি সেই সব জেলায় কনটেনমেন্ট এবং মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে নজরদারী বাড়ালো প্রশাসন। শুক্রবার এই সব জেলাগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্য সচিব এইচকে দ্বিবেদী। ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও অন্যান্যরা স্বাস্থ্যকর্তারা।

মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রকৃত অর্থেই সংক্রমণ যাতে কমে তার জন্য প্রয়োজনে কড়া বিধি নিষেধও লাগু করা হোক। সেই সঙ্গে ওই সব এলাকায় টিকা করণের ওপর জোর দিতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কলকাতা পুরসভাকে এইমর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শহর ও শহরতলীতে মূলত বস্তি এলাকায় টিকাকরণের ওপর জোর দিতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সমস্ত সুপার স্প্রেডারদের টিকাকরণ শেষ করতে হবে। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের মা–দের টিকা করণের ওপর জোর দিতে হবে এবং আলাদা করে পরিকল্পনা করে তাঁদের টিকা দেওয়া শুরু করে দিতে হবে। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় নির্দিষ্ট কর দিতে হবে। ওই সময়ে যাতে গ্রহিতারা দ্বিতীয় ডোজ পান তা নিশ্চিত করতে হবে।

উদ্বেগ বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গেও নতুন ডেল্টা প্রজাতি হানা দিয়েছে। আজ কেন্দ্রের তরফ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানানো হয়েছে একথা। তাতেই আরও বেড়েছে আশঙ্কা। কেন্দ্রের তবে প্রত্যেক রাজ্যের নেওয়া হচ্ছে রাজ্যে সব মিলিয়ে একুশে জুন পর্যন্ত ১৫৫৩ টি ভিওসি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। যার মধ্যে ১৩৯৭  হল ডেল্টা স্ট্রেন।

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

আশঙ্কার অন্যতম কারণ মাত্র চারজন বাইরের ব্যক্তি। বাকি সবাই রাজ্যেরই বাসিন্দা । তাই কেন্দ্র তরফে আগেভাগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। ইতিমধ্যেই ডেল্টা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানায়। শীর্ষস্থানে রয়েছে দিল্লি। জুন মাস পর্যন্ত দেশের ৩৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৭৪ টি জেলায় ভিওসির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

করোনার তৃতীয় কেউ ঠেকাতে আগাম সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে রাজ্য। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কোমড় বেঁধে নেমেছে রাজ্য সরকার। নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা । একই সঙ্গে শিশু হাসপাতাল গুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন বেশি করে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বারংবার সতর্ক করছেন তৃতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি আঘাত হানতে পারে শিশুদের ওপর। যদিও তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করছেন গবেষকরা। তবে কোনোদিক থেকেই পরিকাঠামোর নিয়ে কোনোরকম খামতি রাখতে নারাজ রাজ্য।

সম্পর্কিত পোস্ট