নজরদারির অভিযোগঃ পাঁচ কর্মীর বদলি চাইল রাজভবন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজভবনের পাঁচ জন অফিসার-কর্মীকে ফিরিয়ে নিতে বলে নবান্নে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এঁদের মধ্যে চার জন অফিসার পদের এবং এক জন জমাদার। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প কর্মী-অফিসার পাঠাতে বলা হয়েছে নবান্নকে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কর্মীদের রাজ্যপাল সরাতে বলেছেন, তাঁরা হলেন রাজ্যপালের প্রেস সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজভবনের বিশেষ সচিব কুমারজীব চক্রবর্তী, পার্সোনাল সেক্রেটারি প্রশান্ত সরকার, হাউস কিপার মৌ মিত্র সরকার এবং জমাদার পার্থপ্রতিম ঘোষ।
পাঁচ কর্মীকেই তাঁদের ‘পেরেন্ট ডিপার্টমেট’ অর্থাত্ তাঁরা সরকারের যে দফতর থেকে রাজভবনে কাজ করতে এসেছেন, সেখানে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মানব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে রাজভবনে নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রশান্ত সরকারকে নিয়োগ করা হয়েছিল অর্থ দফতর থেকে। কিন্তু মৌ মিত্র সরকার ও পার্থপ্রতিম ঘোষ রাজভবনের কর্মী। ফলে এই দু’জনকে কীভাবে অন্যত্র পাঠানো হবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
রাজভবনের এই আর্জি মেনে নেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রের ইঙ্গিত। তবে রাজভবনের উপর ‘নজরদারির’ তত্ত্বই এমন আর্জির উত্স কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেই।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rajnath-singh-meets-chinese-defence-minister-in-moscow/
প্রসঙ্গত, রাজভবনের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে, কদিন আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
তাঁর প্রশ্ন ছিল, রাজভবনের গোপন তথ্য কী করে রাজ্য প্রশাসনের সবোর্চ্চ স্তরে গেল? রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘যে এই কাজ করুন না শাস্তি পাবেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম না করে রাজ্যপালের কটাক্ষ ছিল, নবান্নের কোনও গোপন তথ্য এভাবে এলে আমি সতর্ক করতাম।
ওইসময় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলেছিলেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যপাল-নবান্ন বিবাদ একাধিকবার তুঙ্গে উঠেছে। সেই বিবাদে নতুন এবার মাত্রা যোগ করেছিল ‘নজরদারি’র অভিযোগ। আর তার পরই এই পাঁচ কর্মীকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য নবান্নকে রাজভবনের চিঠি যথেষ্ঠ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।