বিহার জুড়ে পদ্মের বিস্তার, তুরুপের তাস সুশীল মোদী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনে বদলেছে রাজনৈতিক সমীকরণ। টায়েটায়ে ভোট পেয়ে বিহারে এনডিএ সরকার গঠন হলেও, দ্বিতীয় বৃহত্তম থেকে একক বৃহত্তম হওয়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই এখন থেকে ঘুটি সাজাচ্ছেন পড়শী রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। লজপা প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানের রাজ্যসভা আসনটি প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদির জন্য বরাদ্দ করল বিজেপি।

নির্বাচনের ফলাফলে পিছিয়ে গিয়েছেন নীতিশ কুমারের দল। ৪৩ টি আসন পেয়ে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে এসেছে তাঁদের নাম। তাই ফাঁদে পড়ে বিজেপির দেওয়া টোপ গিলতে হচ্ছে নীতিশ কুমারকে। ইতিমধ্যেই ২০০৫ সাল থেকে ধরে রাখা স্পিকারের পদ হাতছাড়া করতে হয়েছে নীতিশ কুমারকে। সেইসঙ্গে দীর্ঘদিনের সঙ্গী সুশীল মোদিকে হাতছাড়া করতে হয়েছে তাঁকে। তার পরিবর্তে দু’জন বিজেপি বিধায়ককে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের নির্বাচিত করা হয়।

তার পরিবর্তে রাজ্যসভায় সুশীল মোদিকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। বিহার বিধানসভার নির্বাচনের আগেই প্রয়াত হয়েছেন এলজেপি নেতা রামবিলাস পাসোয়ান। ফলে রাজ্যসভার ওই আসন খালি হয়ে যাওয়ায় সেই আসনের জন্য বেছে নেওয়া হল সুশীল মোদিকে। শুক্রবার বিজেপির সদর দফতরে এই কথা ঘোষণা করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক এবং বিগার বিজেপির ইনচার্জ অরুণ সিং।

আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছে পাঞ্জাবঃ মনোহর লাল খট্টর

১৪ ডিসেম্বর রয়েছে রাজ্যসভার উপনির্বাচন। রাজ্যসভায় যাওয়ার জন্য সুশীলের প্রয়োজন ১২২ টি আসনের সমর্থন। যা এনডিএ শিবিরের কাছে রয়েছে। ফলে সেই কাজ অনেকটাই সুবিধা হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নীতিশের বিকল্প মুখ খোঁজার পাশাপাশি বিহারে নিজেদের ভীত মজবুত করতে চাইছে বিজেপি।

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে চিরাগের পাসোয়ানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাহলে তাঁর অবস্থান কোথায়? কারণ বিহার নির্বাচনে জনসমক্ষে নিজেকে নরেন্দ্র মোদির হনুমান বলে করেছিলেন লজপা প্রধান। বিহারে বিজেপির জমির প্রসার ঘটাতে জেডিইউয়ের সঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এনডিএ শিবির থেকে বেরিয়ে গিয়ে একাই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে নীতিশ কুমারকে কটাক্ষ করেন তিনি। এই সবকিছুর ফলাফল হাতেনাতে পেয়ছে বিজেপি। লজপার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বিজেপি নেতৃত্বকে। তবে কি সুশীল মোদিকে নতুন করে রাজ্যসভায় এনে লজপার সঙ্গে সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে চাইছে গেরুয়া শিবির?

রাজনৈতিক মহলের মতে, সুশীলকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করে নীতিশকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাই চিরাগের হাতে সেই আসন তুলে না দিয়ে সুশীলকে সেই পদের জন্য বেছে নেন।

২০১৯ সালের এনডিএ এর চুক্তি অনুযায়ী লজপার জন্য ৬ টি লোকসভা আসন এবং একটি রাজ্যসভা আসন বরাদ্দ করা হয়। রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর সেই আসনের অধিকারী ছিলেন চিরাগ। সেইসঙ্গে তিনিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদ পাবেন বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু তার বিপরীত হওয়াতে নতুন সমীকরণ দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সম্পর্কিত পোস্ট