ফের উপত্যকার আকাশে পাক ড্রোনের উপস্থিতি!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জম্মুর আকাশে ফের দেখা মিললো সন্দেহভাজন ড্রোনের। শুক্রবার সকাল ৪.২৫ মিনিট নাগাদ আর্নিয়া সেক্টরে ড্রোনটি দেখা গিয়েছে। সেনাবাহিনীর সূত্র মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে ড্রোনটি আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল। সীমান্তরক্ষী বাহিনী তৎক্ষণাৎ ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে পাক সীমান্তের দিকে ফিরে গিয়েছে ওই ড্রোনটি। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল ওই ড্রোনটি।
Drone activity was observed at International Border in Arnia sector. Alert BSF jawans fired few rounds at the drone. Details awaited: Border Security Force (BSF)#JammuAndKashmir
— ANI (@ANI) July 2, 2021
সেনাবাহিনীর সূত্রে খবর, গত চার দিনে মোট সাতটি ড্রোনের হদিস মিলেছে। সীমান্তসহ জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। একইসঙ্গে এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। বড় কোনো নাশকতার ছক তৈরী করছে না তো শত্রুপক্ষ?
জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পরপর দুটি বিস্ফোরণে রবিবার কেঁপে ওঠে উপত্যকা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শক্তিশালী ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হয়েছিল। বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বায়ুসেনার ২ মার্শাল। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ। তারপর সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে প্রতিদিনই জম্মুর সেনাঘাঁটির কাছে উড়তে দেখা গিয়েছে ড্রোন।
কখনো ভোর রাতে। আবার কখনো মধ্যরাতে। কালুচক,রত্নচক, কুঞ্জয়ীনি সেনা ঘাঁটিতে সোমবারও দুটি ড্রোন গুলি করে নামানোর চেষ্টা করেছিল সেনাবাহিনী। যদিও তা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য ২৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সর্বদলীয় বৈঠকের পর এই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জম্মু-কাশ্মীর। রবিবার জম্মু-কাশ্মীরে বিস্ফোরণের পর সোমবার পুলওয়ামায় এক স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসারের বাড়িতে জঙ্গি হানা উত্তপ্ত করে তুলছে উপত্যকাকে।
টিকা বন্টনের নিরিখে চতুর্থ স্থানে পশ্চিমবঙ্গ, মাস জুড়ে থাকবে ফের হাহাকার
মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। প্রতিরক্ষার বেশকিছু বিভাগ নিয়ে এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।
জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশপ্রধান দিল দীলবাগ সিং জানিয়েছিলেন, জম্মুর এয়ারবেস ক্যাম্পে বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে পাক মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই বিস্ফোরণ এবং একের পর এক সন্দেহভাজন ড্রোনের গতিবিধি নিরাপত্তা ইস্যুতে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।