মমতাকে তোপ দাগতে বাড়াবাড়ি শুভেন্দুর!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রাজারহাট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন। ভার্চুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। সেখানে সঞ্চালক মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভুল বলা নিয়ে একপ্রস্থ বিরম্বনা ঘটে।যাতে কিছুটা ক্ষুব্ধ হন মমতা।
কিন্তু বঙ্গ রাজনীতিতে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল, ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ৫৫ সেকেন্ড তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা ও মিথ্যাচারিতার অভিযোগ আনেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে তিনি ট্যুইটও করেন।
ঠিক কোন জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? মুখ্যমন্ত্রী এদিন বক্তব্য রাখার সময় এক জায়গায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার আগেই চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের রাজারহাট ক্যাম্পাসের পথ চলা শুরু হয়ে গিয়েছে! বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ওই বিল্ডিংয়ে সেফ হাউস তৈরি করা হয়েছিল। যেটি মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় আগাম উদ্বোধন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে ঠিক এই অংশটি তুলে ধরে শুভেন্দুর দাবি, ভারতীয় সংস্কৃতিকে অমান্য করে প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ট্যুইটে এই ঘটনাকে কলঙ্কজনক আখ্যা দেন!
শুভেন্দুর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী নাকি ওই হাসপাতাল গড়ে তোলার পিছনে কেন্দ্রের অবদানের কথা অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও জানান চিত্তরঞ্জনের রাজারহাট ক্যাম্পাস তৈরি করতে রাজ্য ২৫ শতাংশ অর্থ খরচ করে, বাকি ৭৫ শতাংশ অর্থ খরচ করেছে কেন্দ্র।
ঘটনা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগতে গিয়ে শুভেন্দু হয়তো একটু বাড়াবাড়িই করে ফেললে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কিছু বলেননি যা থেকে প্রধানমন্ত্রীর অপমান হতে পারে। এটা ঠিক, গোটা বিষয়টি প্রাথমিকভাবে একটু হলেও অস্বস্তিকর হয়ে উঠছিল।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি সুন্দর করে ব্যাখ্যা করার পর সেই অস্বস্তি দূর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে শুভেন্দু যে তিলকে তাল করার চেষ্টা করছেন তা বলাই যায়। সবমিলিয়ে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের রাজারহাট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও রাজনীতির ছোঁয়া লেগে গেল।