Suvendu Adhikari : হাঁসখালি কাণ্ডে মমতাকে বেনজির আক্রমণ শুভেন্দুর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একের পর এক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য। পাল্লা দিয়ে আদালতের সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশের সংখ্যা বাড়ছে। সবমিলিয়ে হঠাৎ করেই যেন বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কিছু কথা ও তার ব্যাখ্যা ঘিরে ব্যাপক জলঘোলা হচ্ছে।

তবে যেভাবে নির্যাতিত নাবালিকাকে মৃত্যুর পর রাতারাতি পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাতে অনেকে উত্তরপ্রদেশের (UP) হাথরাসের ছায়া দেখছেন। এই অবস্থায় মঙ্গলবার ওই নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

সোমবার হাঁসখালি কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মেয়েটি গর্ভবতী ছিল কিনা তা দেখতে হবে। অভিযুক্তের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় মানুষের মধ্যে। এদিন সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন।

Bikash Ranjan Bhattacharya : SSC দুর্নীতিতে পার্থ নয়, জড়িত মমতাঃ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য

কিন্তু সেই দাবি তুলতে গিয়ে কিছুটা যেন লাগাম ছাড়িয়ে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলে বসেন, মুখ্যমন্ত্রীর উচিৎ গলায় গামছা দিয়ে এদের বাড়িতে এসে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে যাওয়া!

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে নানান মহলে সমালোচনা হচ্ছে। তবে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে সমালোচনা করতে গিয়ে শুভেন্দু যে ভাষায় কথা বললেন তাকেও অনেকে সমর্থন করছেন না। সব মিলিয়ে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষের মন্তব্য নিয়ে ঘোরালো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সমাজতত্ত্ববিদদের মতে, বাংলার অবস্থা এই মুহূর্তে যা তাতে রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতি খোঁজার বদলে সব পক্ষকে সংযমের পরিচয় দিতে হবে। না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তো আসবেই না, উল্টে আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। তাতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি।

সম্পর্কিত পোস্ট