হলদীয়ার অরাজনৈতিক সভামঞ্চ থেকে জোড়ালো সুর শুভেন্দু অধিকারীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মন্ত্রীসভা সহ একাধিক সরকারী পদ থেক ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে অরাজনৈতিক কর্মসুচী চালিয়ে গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে দলের ব্যানার ছাড়া একাধিক কর্মসুচী চালিয়ে গিয়েছেন। উগরে দিয়েছেন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। মঙ্গলবারও হলদীয়ার সতীশ সামন্তের স্মরণসভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে হলদিয়া বন্দরের নাম স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশচন্দ্র সামন্তের নামে করার প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির নয়। নন্দীগ্রাম আন্দোলন মানুষের ছিল। মানুষ জয়ী হয়েছে। নাম না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ফর দ্য পিপল, অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল যা সংবিধান বলে গেছে তা বাংলায় ফিরিয়ে আনতে হবে। কেন রাজ্যজুড়ে ফর দ্য পার্টি, অব দ্য পার্টি এবং বাই দ্য পার্টি থাকবে? প্রশ্ন শুভেন্দু অধিকারীর। সারা বাংলার গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ডাক দিলেন তিনি।

হলদিয়ার মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, চরৈবতী মন্ত্র আছে আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। সতীশ সামন্তের কথা উল্লেখ করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, বাংলা থেকে আগে সাংসদ পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন সতীশ সামন্ত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরুর স্নেহধন্য ছিলেন তিনি। যে কোনও ডেলিগেশনে সতীশ সামন্তকে বেছে নিতেন। জওহরলাল নেহেরুকে সতীশ সামন্ত কখনও বহিরাগত বলেননি আর সতীশ সামন্তকে নেহেরু কখনও অহিন্দিভাষী বলেননি।

এই মুহুর্তে রাজ্যের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বদের আগমণকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। হলদিয়ার মঞ্চ থেকে এদিন খানিকটা ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন শুভেন্দু। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা

আরও পড়ুনঃ সুদীপ্ত সেনের চিঠির প্রেক্ষিতে সিবিআই অধিকর্তাকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু

এদিন হলদিয়ার অরাজনৈতিক সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, পদের লোভ আমি করি না। অনেকে বলছেন পদের লোভ দেখিয়ে লোক আনছে। শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট মন্তব্য আমি ২৭ নভেম্বর মন্ত্রীসভার পদ থেকে ইস্তিফা দিয়েছি। তাও আমার জনসভায় লোক আসছেন। তাঁদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে বলেই তিনি আসছেন। এই সভায় লোক বিজেপি, সিপিএম এবং তৃণমূল কেউই আনেনি। আমি শুধুমাত্র আমার পরিবারের কথা ভাবি না।

নাম না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, অনেকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ পছন্দ করি না। চট ঘেরা জায়গায় জবাব দেবে মানুষ। যখন আঙুল টিপে মানুষ জবাব দেবে তখন তাঁদের অবস্থা অনীল বসু, বিনয় কোঙার এবং লক্ষ্মণ শেঠের মতো হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট