“রাজ্যপাল সংবেদনশীল,তাই হয়তো উনি ভাষণ পুরোটা না পড়ে টেবল করে দিয়ে চলে গেছেন” -মন্তব্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রারম্ভিক ভাষণে নেই ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ। বিজেপি বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভ। ভাষণ শেষ না করে বিধানসভা ছাড়লেন রাজ্যপাল।বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে শোনা গেল না রাজ্যপালের ভাষণ। সম্ভবত পুরো ভাষণ পড়লেন না রাজ্যপাল। চার মিনিটের মধ্যে ভাষণ শেষ করেন রাজ্যপাল। এরপর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রথা মেনে তাঁকে বিদায় জানাতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মন্ত্রিসভার লিখে দেওয়া ওই ভাষণে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একটি কথাও নেই। বরং দাবি করা হয়েছে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পর হিংসার কোন ঘটনা ঘটেনি। সেকারণে বিজেপি পরিষদীয় দল অত্যাচারিত দের ছবি ও নথি সহ ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজ্যপাল সংবেদনশীল। তাই হয়তো উনি ভাষণ পুরোটা না পড়ে টেবল করে দিয়ে চলে গেছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, যে ভাষণ রাজ্য সরকার লিখে দিয়েছিলেন তাতে কোথাও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সেই ভাষণে কোথাও উল্লেখ নেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের অবিচার, সন্ত্রাস, লুটপাট এবং গণহত্যা ও গণধর্ষণের মত বিষয়গুলিও। উল্টে রাজ্যজুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন রাজ্যপাল ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জেলায় জেলায় গিয়েছেন কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিধান সভা কক্ষে নিহত কার্যকর্তা এবং অত্যাচারিত দের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন মাত্র চার দিনের অধিবেশনে ভোট-পরবর্তী হিংসা, ভ্যাকসিন দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। রাজ্য সরকার লুকিয়ে ফেলেছে তাই ভোট পরবর্তী হিংসার কোন উল্লেখ নেই প্রারম্ভিক ভাষণে । তাই আমরা ভাষণের তীব্র প্রতিবাদ করেছি।