আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া শাস্তির দাবীতে সরব শুভেন্দু

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে কেন্দ্র৷ তখন রাজ্যের আমলারা ‘অসহায়’ বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সেই অবস্থান বদলে মুখ্যসচিবের শাস্তির দাবীতে সরব হলেন বিজেপি নেতা।

শুক্রবার থেকে যে ঘটনাবলী ঘটে চলেছে তাকে ‘অলীক রঙ্গ কুনাট্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন নন্দীগ্রামে বিধায়ক। একইসঙ্গে একাধিক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। প্রতিবারেই টুইটে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনি বিধায়ক নন।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে ‘অলিক রঙ্গ কুনাট্য’ চলছে। অনুশাসনহীন মুখ্যসচিবকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোকে ভাঙতে উদ্যত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী( বিধায়ক নন)। অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব কি এমন জানেন যার কারণে তাঁকে আগলে রাখার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী(বিধায়ক নন)? ইয়াস নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যসচিবের এড়িয়ে যাওয়া কী শোভা পায় প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও একটি টুইটে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, করদাতাদের পয়সা লুঠ করে তৃণমূল। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আড়াই লক্ষ টাকা করে মাইনে এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন। করদাতাদের দেওয়া এই টাকা নিশ্চিতভাবে আরও ভালো জায়গায় খরচ করা যেতে পারত৷

শুক্রবার ঘুর্ণিঝড় ইয়াশ নিয়ে কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটিতে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব।

এরপর দিল্লির নর্থ ব্লকে ডেকে পাঠিয়ে দুটি চিঠি দেওয়া হয় মুখ্যসচিবকে৷ সেই সমস্ত কিছুর মধ্যে সোমবার অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত না থাকার জন্য তাঁকে শোকজ করে কেন্দ্র।

সম্পর্কিত পোস্ট