ম্যানমেড বন্যার’ তত্ত্ব উড়িয়ে বাঁধ সংস্কার নিয়ে মমতাকে চাঁচাছোলা আক্রমণ শুভেন্দুর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জলের তলায় হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অংশ। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি (Flood)। এই পরিস্থিতির জন্য এবার মুখ্যমন্ত্রীর ‘ম্যানমেড বন্যার’ তত্ত্ব উড়িয়ে সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)।

মাস কয়েক আগে আরামবাগ, পুড়শুড়া, হাওড়া এলাকা জলমগ্ন ছিল। ভেঙে গিয়েছে বাঁধ। কেন সেই ভাঙা বাঁধ মেরামতি হল না? সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন বাঁধ সংস্কারের জন্য বাজেটে বরাদ্দ অর্থের কত টাকা অর্থ দফতর মঞ্জুর করেছে?

শুভেন্দু অধিকারী বলেন , ‘এর আগে বন্যা পরিস্থিতি হল। কেন সেই ভাঙা বাঁধের মেরামতি হল না? এরা ভাতা দেওয়ার সরকারের পরিণত হয়েছে। মানুষকে মিথ্যা বলাই তৃণমূল সরাকারের অ্যাজেন্ডা।’

তিনি বলেন, ‘ধরে নিলাম আরামবাগ শহর ভাসছে ডিভিসির জলে। তাহলে কলকাতা কীসে ভাসছে। গত দু’মাসে কলকাতার মানুষ ১০ বার ভেসেছেন। সেটা হল কী ভাবে?’

তাঁর কথায়, ‘আসলে এই সরকার, এই মুখ্যমন্ত্রী পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে কোনও ভাবনাচিন্তাই করেননি। শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছেন। তার ফলে বাংলার মানুষকে বারবার দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।’

রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে (DVC)কে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ঝাড়খন্ডে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওরা আমাদের না বলে রাত তিনটের সময় আসানসোলের জল ছেড়েছে। ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের ফেস করতে হচ্ছে। ওরা যদি ওদের জলাধার গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে তাহলে অনেক জল ধরতে পারে।”

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ওরা প্রায় ৫০ বছর ধরে জলাধার পরিস্কার না করায় জলাধারগুলির জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন শুভেন্দু।

বিরোধী দলনেতার দাবি, জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত ডিভিসি একা নিতে পারে না। কমিটিতে সেচ দফতরের সচিব ও ইঞ্জিনিয়ারও থাকেন। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করেই বাঁধের জল ছাড়া হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট