জল্পনা জিইয়ে রেখেই মঞ্চ ছাড়লেন শুভেন্দু

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রবিবার পুর্ব মেদিনীপুরে অরাজনৈতিক জনসভা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রীসভার পদ থেকে ইস্তফার পর শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল, রবিবারের জনসভা থেকে নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু। কিন্তু অতীতের মতো এদিনের জনসভাতেও দলীয় প্রসঙ্গে মুখ খুললেন না শুভেন্দু।

দীর্ঘ বেশ কয়েকমাস যাবত দলীয় ব্যানার ছাড়াই জনসভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূল বিধায়কের অরাজনৈতিক জনসভায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় ৮ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে সেটা নিজেই জানালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

সদ্য প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে এসে স্বাধীনতা পূর্ব এবং স্বাধীনতার সময়কার মেদিনীপুরের একাধিক ইতিহাসের কথা।

আরও পড়ুনঃ “দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, মাফিয়া- কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বহিরাগত” , ডায়মন্ডহারবার থেকে বিস্ফোরক অভিষেক

আগামী দিনেও বিশেষ দিনগুলিতে কর্মসূচী স্থির করেন তিনি। কিন্তু একবারের জন্যেও তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে একটি শব্দ খরচ করলেন না। শুধু বললেন, সংবিধানের শেষ কথা বলে জনগণ। সারা জীবন জনগণের জন্য কাজ করে যাবো।

এদিন শুভেন্দুর সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা দাদার অনুগামী’ সদস্যরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল করে এদিনের স্মরণসভায় উপস্থিত হন তিনি।

দল প্রসঙ্গে শুভেন্দু চুপ থাকলেও শুভেন্দু প্রসঙ্গে চুপ থাকেনি দল। শুভেন্দুর জনসভা থেকে ঠিক ১০ কিলোমিটার দুরত্বে মিছিল এবং জনসভা করেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুতিত বসু এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের দলের এক এবং অভিন্ন মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা দলীয় কর্মীদের কাছে স্পষ্ট করে দেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে নাম না করে ডায়মন্ড হারবারের জনসভা থেকে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্যারাসুটে নামিনি আর লিফটেও উঠিনি। প্যারাসুটে নামলে আর লিফটে উঠলে ডায়মন্ড হারবার নয় দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতাম। দলের সিদ্ধান্তে আমাকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হতে হয়েছে”।

শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফার পর সেই পদ গুলি নিজের অধিকারে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের উল্লেখ্যযোগ্য নেতা হওয়ার কারণে তুলে নেওয়া হয়নি শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা।

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সমস্ত কিছুতেই শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল। আরও একবার দলের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, সেই সমঝোতার দরজা খুলে রেখেই এখনও শুভেন্দুর মন্ত্রকগুলি অন্যান্য বিধায়কদের মধ্যে বন্টন করে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু নিয়ে আলোচনা অবসানের পথে হাঁটছে না কোনওপক্ষ।

সম্পর্কিত পোস্ট