রামনগরের মঞ্চ থেকে দলবদলের বিতর্কে জল ঢাললেন শুভেন্দু নিজেই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দল বদলের বিতর্কে জল ঢাললেন শুভেন্দু অধিকারী। রামনগরের ‘মেগা শো’ তে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন “আমি মন্ত্রীসভার সদস্য, উনিও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি”

এই মুহুর্তে রাজ্য রাজনীতির হট টপিক শুভেন্দু অধিকারী। কারণ, কয়েকদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে জল্পনা চলছিল তাতে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কি ছিল সেটা বলা খুব কঠিন হয়ে উঠেছিল। বিতর্ক শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজোর বিজয়া সম্মীলনির মঞ্চ থেকে। তারপর নন্দীগ্রামের ১০ নভেম্বরের শহীদ স্মরণ সভা। গত কয়েকদিন ধরে দলীয় পতাকা ছেড়ে একের পর এক সভা করে রাজনেতিক মহলে চুড়ান্ত বিতর্ক তেরী হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে।

১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের শহীদ স্মরণ মঞ্চ থেকেই বৃহস্পতিবার মেগা শোয়ের ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন “লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে”। অনেকেই ভেবেছিলেন আজকের মঞ্চ থেকে হয়তো দলবদলের ধোঁয়াশা দুর করবেন শুভেন্দু নিজেই। কিন্তু তা হয়নি। বরং প্রায় ২০ হাজার সমবায়ীকে নিয়ে সমাবেশ করলেন তিনি। আর স্পষ্ট করে বলে দিলেন, “এখনও আমি দলের প্রাথমিক সদস্য। মন্ত্রীসভারও সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়াননি, আমিও দল ছাড়িনি। মন্ত্রীসভায় থেকে দলের বিরুদ্ধে আমি কথা বলিনা”।

 আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু বনাম অখিল, পোস্টার রাজনীতিতে সরগরম রামনগর

তিনি আরও বলেন, “দলে থাকলে রাজনৈতিক বিভেদ হয়। কিন্তু যতক্ষন নিয়ন্ত্রকরা তাড়ায়নি, আমি ছাড়িনি ততক্ষণ বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না। এটা বিদ্যাসাগরের মেদিনীপুর। আমরা আনএথিক্যাল কিছু করিনা”। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলী সহ গ্রামীণ এলাকার প্রায় পাঁচ লক্ষ পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে স্পষ্ট করেন তিনি।

এদিনের মঞ্চ থেকে দীপ্ত কন্ঠে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, “আমি বসন্তের কোকিল নই। শুধু ভোট চাই, ভোট দাও বলি না, সাত দিন, ২৪ ঘন্টা মানুষের সঙ্গে থাকি। লকডাউনে ছিলাম, কোভিডে ছিলাম। ঝড়ের রাতে দীঘায় মনে হচ্ছিল উড়িয়ে ফেলে দেবে। কিন্তু নন্দীগ্রাম করা লোক তো, অত সহজে ওড়ানো যাবে না”।

এদিন মঞ্চ থেকে তিনি স্পষ্ট করে দেন আমি সমবায় তথা অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে রাজনীতির কথা বলব না। তিনি স্থান কাল পাত্র বোঝেন।

রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের তৃণমূলের পুনুরুদ্ধারের দায়িত্ব পিকের হাতে পড়ার পর থেকেই যেসমস্ত দলীয় বিধায়করা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দুর সাংগঠনিক ক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই তাঁকে চটাতে চাইছে না শাসক দল। তাই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রকাশ করেনি শাসক দল। বরং পরিস্থিতি যাতে না হাতের বাইরে যায় তার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে আসেন স্বয়ং প্রশান্ত কিশোর। অতএব বৃহস্পতিবার রামনগরের সমাবেশ থেকে দল নিয়ে কিছু না বললেও শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা ঠিক হবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট