উপসর্গহীন করোনার মতো , উপসর্গহীন বিজেপি ছিলেন শুভেন্দুঃ অভিষেক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস যুব সভাপতি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই নব্য বিজেপি সদস্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন অমিত শাহ তাঁর বড়ো ভাই। ২০১৪ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। অর্থাৎ উপসর্গহীন করোনার মতো তৃণমূলে ছিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, একসময় বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার দখল ছিল তৃণমূলের হাতে। তখন ওই জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরে লোকসভার সময় সেই দায়িত্ব বর্তায় শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। একটিও আসন পায়নি তৃণমূল। আর সম্প্রতি কাঁথির জনসভায় বিষ্ণুপুরের সাংসদ জনসমক্ষে বলে ফেলেন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী না থাকলে তার পক্ষে জয় অসম্ভব ছিল। রবিবার ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেকের বলেন, এতেই প্রমাণ হয়ে গেল এতদিন তিনি ছিলেন উপসর্গহীন বিজেপি।

শনিবার বিজেপির হেস্টিংসে দলীয় সভায় অংশগ্রহণ করে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপির একাধিক নেতাকে। সেপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২১ বছর ধরে দলটা করেছি এখন ভাবলে লজ্জা হয়। তৃণমূল এখন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। পাল্টা রবিবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওনার বাবা এবং ভাই দুই জন তৃণমূলের সাংসদ। একই বাড়িতে থাকতে লজ্জা হয় না?

আরও পড়ুনঃ বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান শিবসেনার

এর আগে একাধিক নিজেদের মেদিনীপুরের ভুমিপুত্র ইশ্বরচন্দ্রের কথা উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে। তারই জবাবে অভিষেক বলেন, বিদ্যাসাগরের যারা মুর্তি ভেঙেছিল এখন তাঁদের দলেই গেছো। অভিষেকের দাবী যারা বিদ্যাসাগরের মুর্তি ভেঙেছিলেন তারাই সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতির কনভয়ে উপস্থিত ছিলেন।

এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর ‘তোলাবাজ ভাইপো হটাও’ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হলে তার দায়িত্বে থেকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। আর দায়িত্বে থাকেন অমিত শাহ নিজে। তাহলে তোলাবাজ কে হল? কয়লা বিভাগ কেন্দ্রের হাতে। যার মন্ত্রী পী্যুষ গোয়েল। তিনি বিজেপির সদস্য। শুভেন্দু প্রসঙ্গে বলেন, নারদা, সারদা, রোজভ্যালি একাধিক মামলায় নিজেকে বাঁচাতে বিজেপির আশ্রয় নিয়েছ। তোলাবাজ তো তুমি। আমার সারদাতেও নাম নেই আর নারদাতেও নাম নেই। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তোলাবাজি প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চ করে দিও আমি নিজে যাবো।

একই দিনে পুর্ব মেদিনীপুরের দাঁতনে রোড শো করার পর জনসভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মঞ্চ থেকে অভিষেককে পাল্টা কি বার্তা দেবেন প্রাক্তন তৃণমূলের নেতা? সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট