১০ আসনের বেশি শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী বাধ্যতামূলক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান নিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত না হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দিয়েছে, ১০-এর বেশি যদি কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে শয্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক হবে। দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত টানাপড়েন চলার পরই এই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যসাথীর রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই তপ্ত রাজনৈতিক মহল। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের ‘গিমিক’ হিসেবে এই কার্ডকে শাসকদল ব্যবহার করছে।
কিন্তু, কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বিনা চিকিৎসায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে ভুরি ভুরি। এখানেই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ নামক স্বাস্থ্যবীমার সঙ্গেও বারবার তুলনায় টানা হয় রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথীকে।
বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের যুক্তি ছিল, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খরচের যে পরিকাঠামো বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাতে চিকিৎসা করে লোকসানের বোঝা ওঠানো সম্ভব নয়। এমনকি, তারা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত নন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে এই দাবিও করা হয়।
সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জ্বালানি তেল নিয়ে কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন্দ্র: অমিত মিত্র
এই অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা। বৈঠক করেন খোদ মুখ্যসচিবও। খরচ পরিকাঠামোয় কিছু পরিবর্তনও করা হয় হাসপাতালগুলির স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। তার পরও রোগী প্রত্যাখ্যানের প্রবণতা কম হতে দেখা যায়নি।
এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবনের কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। সেই মতো এ দিন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, ন্যূনতম ১০ শয্যা বা তার বেশি শয্যার যে হাসপাতাল ও নার্সিংহোম রয়েছে তাদের স্বাস্থ্যসাথীর আওতাভুক্ত হতেই হবে।
যদি এই নির্দেশিকা অনুসরণ না করা হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেমিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দরজাও আজকের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খুলে দেওয়া হয়েছে।