সরপুরিয়া-ক্ষীরকদমের স্বাদ চাখবে কে? গভীর সঙ্কটে মিষ্টি হাবের ব্যবসায়ীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বর্ধমান মানেই যেমন বাংলার শস্য গোলা, তেমনই মিহিদানা-সীতাভোগ-চন্দ্রপুলি-সরপুরিয়া সহ হরেক মিষ্টির ভাঁড়ার। এমন অনেকেই আছে যাঁরা স্রেফ খাঁটি ছানার মিষ্টি চেখে দেখতে কলকাতা থেকে বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে পাড়ি দেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টিতে নজর দেন।
রাজ্যে তেমন শিল্প না থাকায় কর্মসংস্থান তৈরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নানান ক্ষেত্রে তিনি মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরেই কয়েক বছর আগে নির্দেশ দেন বর্ধমানে মিষ্টি শিল্পের প্রসারের জন্য গড়ে তোলা হবে মিষ্টি হাব।
বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে আলিশা মৌজার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত গড়ে ওঠে মিষ্টি হাব। সেখানে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা দোকানঘর নিয়ে ব্যবসাও শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা বুঝে যান নামে মিষ্টি হাব হলেও সেখানে মিষ্টির কেনাবেচা হওয়া এক প্রকার অসম্ভব। আজ সেই মিষ্টি হাব স্রেফ ইট-কাঠ-পাথরের জঙ্গল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন মানেই তৃণমূল নেত্রীর অস্বস্তি, গোপালকৃষ্ণের ‘না’ কী ফের সেটাই প্রমাণ করল?
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাবের এই দুর্দশার কারণ প্রশাসনিক সদিচ্ছা ও উদ্যোগের অভাব। কোনও এক জায়গায় হঠাৎ করে কতগুলো দোকান তৈরি করে তার নাম দিয়ে দিলেই তো আর হয়না। তার জন্য যথোপযুক্ত পরিকল্পনা দরকার হয়। না হলে মানুষ খামকা বর্ধমান শহর ছেড়ে আলিশা মৌজায় মিষ্টি হাবে কেন আসবে?
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন দূরপাল্লার বাস মিষ্টি হাবে দাঁড়াবে। সেখানে দোকান নেওয়া ব্যবসায়ীদের কাছে এটাই ছিল মূল আশার আলো। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও বন্দোবস্ত না করায় একটাও বাস মিষ্টি হাবে দাঁড়ায় না। এমনকি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে দুর্গাপুরে গেলেও তিনি নিজেও এই মিষ্টি হাবে আসেননি।
অথচ ব্যবসায়ীদের আশা ছিল মুখ্যমন্ত্রী একবার অন্তত আসবেন। তাঁদের এই দুর্দশা দেখে তিনি নিশ্চয়ই কোনও পদক্ষেপ করবেন। কিন্তু সেই আশা পূরণ না হওয়ায় আদৌ মিষ্টি হাবে আর কোনও ভবিষ্যৎ আছে কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। ফলে হতাশা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।