Covid মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে চালু হেল্পলাইন নম্বর, দেখে নিন একনজরে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনায় কাবু গোটা দেশ। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শীর্ষে রয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা। অন্যদিকে, মালবাজার শহরে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই মাল পুরসভার উদ্যোগে চালু করা হয়েছে নাইট কার্ফু।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত দোকান পাট। রাস্তা ঘাট হয়ে যায় ফাঁকা। শুধুমাত্র ঔষধের দোকান এবং অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু থাকছে ।
মাল পৌর স্বাস্থ্য বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সুপ্রতিম দাস জানান, গত ১ মাসে মালবাজার শহরে ১৯২ জন করোনা পজেটিভ হয়েছে। মারা গেছে ৪ জন।
এছাড়া বহু মানুষ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাড়ি রয়েছেন। পাশাপাশি মানুষজন করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৩২,৭৩০ জন। এই মুহুর্তে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬২,৬৩,৬৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২,২৬৩ জনের। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৬,৯২০ জন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিনে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১,৯৪৮ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭,০০,৯০৪ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৪৬ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৭৩ জন।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় রাজ্য সরকার যে কোন ধরনের সহায়তায় প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছে।
সমাধানের রাস্তা কি?
কোভিড আক্রান্ত রোগীদের যে কোন প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দপ্তরের ১৮০০-৩১৩-৪৪৪-২২২ নম্বরে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার জন্যে ০৩৩-৪০৯০-২৯২৯ নম্বরে ফোন করা যাবে। ফোনে বা ভিডিও কলে চিকিৎসকদের থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ এবং ওষুধ সংক্রান্ত তথ্য ০৩৩ ২৩৫৭-৬০০১ নম্বরটি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমের ০৩৩-২২৮৬-১২১২ নম্বরে ফোন করা যাবে। প্রয়োজনে ৮৩৩৫৯৮৮৮৮৮ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও যোগাযোগ করা যাবে।
ষষ্ঠ দফার ভোটের দিন স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী হাওড়া জেলায় এই সংখ্যা ৬৭১ এবং দক্ষিণ ২৪পরগণা জেলায় ৭৭৯। বীরভূম জেলায় ৬২৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সব জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে তিনবার পরিবর্তিত বা ট্রিপল মিউট্যান্ট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোয় চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বেড়েছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ লক্ষ্য করা গেছে।
রাজ্যে বৃহস্পতিবার কোভিড ভ্যাকসিনের প্রায় ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ডোজ দেওয়া হয়। এপর্যন্ত টিকা নিয়েছেন, ৯৫ লক্ষ ৫৫ হাজারের মতো রাজ্যবাসী।
কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্বের অন্তর্বর্তী ফলাফলে এই টিকার ৭৮ শতাংশ কার্যকারিতা নজরে এসেছে বলে, ভারত বায়োটেক এবং ICMR- জানিয়েছে।
তবে, কোভিড১৯ সংক্রমণ তীব্র হলে সেক্ষেত্রে এর ক্ষমতা একশো শতাংশ বলে, গবেষণায় জানা গেছে। একশো সাতাশ জন উপসর্গযুক্ত সংক্রমিতের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করে যথেষ্ট আশাপ্রদ ফল পাওয়া গেছে।