তপন দত্ত খুনে নিশানায় ছিল রাজ্যের মন্ত্রী, এতদিন পর আদৌ কিছু করতে পারবে সিবিআই?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে সবে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই ২০১১ সালেই হঠাৎ খুন হয়ে যান বালির পরিবেশকর্মী তপন দত্ত। সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য অরূপ রায়ের দিকে। যদিও তদন্তে বিশেষ কিছু হয়নি। তবে মৃত তপন দত্তের স্ত্রী স্বামীর খুনের তদন্তের জন্য সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
মাঝে একটা গোটা দশক চলে গিয়েছে। প্রথম তৃণমূল সরকারের জামানা পেরিয়ে এখন তৃতীয় তৃণমূল সরকার বাংলার ক্ষমতায়। অবশেষে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এতে তপন দত্তের পরিজনরা খুশি হলেও এতদিন পর সিবিআই আদৌ কিছু পড়তে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
পরিবেশকর্মী তপন দত্ত বালির বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাভূমি ভরাট, নির্বিচারে গাছ কাটা, অবৈজ্ঞানিক প্রোমোটিংয়ের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তাতে কাদের স্বার্থে ঘা পড়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁকে বারবার ভয় দেখিয়ে লড়াইয়ের পর থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
কিন্তু অকুতোভয় তপন লড়াই জারি রেখেছিলেন। একদিন হঠাৎ তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এই পরিবেশ কর্মীর। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল প্রোমোটারদের স্বার্থে বিঘ্ন ঘটাতেই খুন হতে হয়েছিল তাঁকে।
পুরনো বদনাম ঘুচিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সেচ দফতর, তবে চলার পথ অনেকটাই বাকি
অম্বিকেশ মহাপাত্র, তপন দত্তের স্ত্রীরা সেই সময় সেভ ডেমোক্র্যাসি নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। তা আজও বাংলায় গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে কাজ করে চলেছে। এই সংগঠনের প্রতি বামেদেরও সমর্থনও আছে। কিন্তু শত লড়াই আন্দোলন সত্ত্বেও গত ১০ বছরে এই খুনের তদন্ত বিশেষ একটা এগোয়নি। অবশেষে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ এলেও কাজের কাজ কিছু হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
কারণ এতদিনে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমনকি গত ১০ বছরে বালির ভূ-প্রাকৃতিক ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে। হাওড়া জেলাজুড়ে তৃণমূলের একচ্ছত্র দাপট। সিবিআই কতটা কী করতে পারে সেটাই এখন দেখার। তবে আদালতের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে একটা বিষয় স্পষ্ট এই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় বিচারপতিরা সন্তুষ্ট নয়।