উত্তর ২৪ পরগণার গেরুয়া শিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ তপন সিনহা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ভাঙ্গন ধরেছে উত্তর ২৪ পরগনা গেরুয়া শিবিরে। রতন ঘোষ, বাবু মাস্টারের পর এবার সেই তালিকায় তপন সিনহা।

শনিবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙ্গা টাউনহলে এক রাজনৈতিক সমাবেশে যোগদান করেন তিনি। যেদিন মুকুল রায় বিজেপি ছেড়েছিলেন, সেদিনই বনগাঁ জেলার সাংগঠনিক সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে থেকে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই শেষমেষ দলত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হলো।

শনিবার গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌরপ্রশাসক সুভাষ দত্তের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন তিনি। রাজ্যজুড়ে যখন দলত্যাগী নেতাদের ঘরে (তৃণমূলে) ফেরানোর তুমুল বিরোধিতা করছেন কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে রতন ঘোষ ও বাবু মাস্টারের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়লেও তপন সিনহার বিরুদ্ধে তেমন কোনো আপত্তি নজরে আসেনি এতদিন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সবথেকে ভালো ফল করেছে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁয়। বনগাঁ মহকুমার ৭ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৬ টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

সেইলের দুটি কারখানা রাজ্য থেকে স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের, চিঠি দিয়ে অমিত মিত্রকে জানালেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

এদিন তপন সিনহার সঙ্গে গোবরডাঙ্গা বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শর্মিষ্ঠা রায় বালা তার অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এলাকায় খেটোদা হিসেবে পরিচিত তপন সিনহা। মুকুল রায়ের ছায়া সঙ্গী হিসেবে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত ছিলেন তিনি। রাজনীতির ময়দানে বরাবরই মুকুল রায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন তিনি।

গোবরডাঙ্গা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর দত্ত বলেন, যারা এতদিন বিজেপি করছিল তারা হতাশ। বিজেপি ছাড়ছে কারন বিজেপির মিথ্যাচার আর ভাঁওতাবাজিতে প্রত্যেকে অতিষ্ঠ। তাই সকলেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হতে এগিয়ে আসছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট