লক্ষ্য তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতি ভোটব্যাঙ্ক, বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন মমতা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি এখনও। শোনা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই ভোট ঘোষণা হতে পারে। এই অবস্থায় দলের তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামী বৃহস্পতিবার দুপুরে বা শুক্রবার সকালে কলকাতার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে হবে এই বৈঠক। ওই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরও থাকতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

বৈঠকে মূলত রাজ্যের তপশিলী জাতি ও তপশিলী উপজাতি সংরক্ষিত আসনে দলের রণনীতি কী হবে তা ঠিক করতে যেমন আলোচনা করা হবে তেমনি ওই দুই জাতিগত ভোটব্যাঙ্ক যাতে রাজ্যের শাসকদলের অনুকূলেই থাকে সেই বিষয়েও জোর দেওয়া হবে।

রাজ্য নেতৃত্বের অনুরোধে একুশের জনসভা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৮৪টি কেন্দ্র তপশিলী জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে তপশিলী জাতির জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ৬৮টি কেন্দ্র ও তপশিলী উপজাতির জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ১৬টি কেন্দ্র।

এর বাইরেও রাজ্যের আরও প্রায় ৩৬টি আসন কমবেশি তপশিলী জাতি অথবা তপশিলী উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের দ্বারা প্রভাবিত। ২০১৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে এই সব আসনের প্রায় বেশিরভাগ অংশটাই গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। কিন্তু সেই ছবিটাই ঘুরে গিয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে।

দেখা গিয়েছে রাজ্যের সব তপশিলী জাতি ও উপজাতি কেন্দ্রের আসনগুলিতে বা প্রভাবিত আসনগুলিতে বড় মাপের জয় পেয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে যেমন ছিল উত্তরবঙ্গের আসন তেমনি ছিল দক্ষিনবঙ্গের আসন, জঙ্গলমহলের আসনও।

এবারে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সেই তপশিলী জাতি ও উপজাতি ভোটব্যাঙ্ককে আবারও নিজেদের পক্ষে ফিরিয়ে আনা তৃণমূলের কাছে বেশ বড়সড় এক চ্যালেঞ্জ।

রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য এখন সব থেকে বেশি বিবেচিত হয় সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক। সেই ভোটব্যাঙ্কের বেশিরভাগটাই এবারেও তৃণমূলের পক্ষে যাওয়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও সত্যি যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেমন একচেটিয়া ভাবে তপশিলী জাতি ও উপজাতির ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দখলে নিয়ে এসেছিল এবারের নির্বাচনে কিন্তু তাঁরা সেই আধিপত্য ধরে রাখতে পারবে না বলেই নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

আর সেই কারনেই এবার তৃণমূল উঠেপড়ে লেগেছে নিজেদের হারানো ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে। সেই লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী দলের এসসি ও এসটি সেলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালেই শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সেদিন কলকাতায় ফিরেই তিনি গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ওই বৈঠকে যোগ দেবেন খবর।

সম্পর্কিত পোস্ট