ভারতের পাহাড়প্রমাণ রান অনায়াসে অতিক্রম করল মেইন ইন ব্ল্যাক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রথম ইনিংসের ভারতের পাহাড় প্রমাণ রান দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচ আজ বিরাট অ্যান্ড কোম্পানির পকেটে। শ্রেয়স আইয়ারের সেঞ্চুরির সঙ্গে কেএল রাহুলের ৮৮ রানের ইনিংস এবং বিরাট কোহলির অর্ধশতক দেখে মনে হয়েছিল এবারেও কিউয়িদের মাটিতে ভারত হোয়াইট ওয়াশ করেই ফিরবে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ছবিটা একেবারে পাল্টে গেল। টেলর ঝড়ের কাছে হার মানতে হল ভারতীয়দের। ‘এনিথিং ইজ পসিবিল ইন ক্রিকেট’ এটা প্রমাণ করে দিল কিউয়িরা।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য বিশ্বকাপ, বছরের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ের জন্য মরিয়া টিম কোহলি

এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউয়ি অধিনায়ক টম ল্যাথাম। শুরুতেই ঠিকঠাক জুতসই মনে হয়নি পৃথ্বী শ এবং মায়াঙ্ক আগরওয়ালের জুটিকে। রপ্তহম ওভারেই টিম সাউদিকে মেডেন দেন পৃথ্বী। কিন্তু হাত সেট করতে গিয়েই কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসলেন। ৫০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট খুইয়ে বসে ভারত। এরপরেই মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট ভারতকে চিন্তায় ফেলে দেয়। এক সময় মনে হয়েছিল রোহিত শর্মার থাকা অত্যন্ত জরুরী।

পরে অবশ্য বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়স আইয়েরের জবরদস্ত পার্টনারশিপ সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দেয়। ১০২ রানের পার্টনারশিপের পর আউট হন বিরাট। পরে কে এল রাহুলের পার্ফরম্যান্স দেখে মনে হয়েছিল পাহাড় প্রমাণ রান করতে পারে ভারত। সেটা হয়েওছিল ১০৩ রানে শ্রেয়সের উইকেট হারানোর পরেও স্কোর বোর্ডের রান সংখ্যা টিম ইন্ডিয়ার মুখে হাসি এনে দিয়েছিল। ৩৪৮ রানের পাহাড় প্রমাণ টার্গেট কিউয়িদের জন্য বেশ কঠিন হবে বলে আঁচ করছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ বোর্ডের চুক্তিতালিকায় নেই নাম, তবে কি ধোনি যুগের অবসান?

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকে গাপটিল এবং ব্লান্ডেলের উইকেট চলে যাওয়াতে অনেকটা ভরসা পেয়েছিল ভারতীয় দল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢাললেন হেনরি নিকোলাস। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত রান আউটের পরেও ম্যাচ প্রেসার কমছিল না কিছুতেই। সঙ্গে অধিনায়ক টম ল্যাথামের ৪৮ বলে ৬৯ রান আলাদাই ফ্লেবার এনে দিয়েছিল। এখান থেকেই যে ম্যাচের পরিবর্তন হচ্ছিল তা বুঝতেই পারা যাচ্ছিল। শেষ অবধি টিকে থেকে ম্যাচ বের করলেন রস টেলর। সঙ্গে হাঁকালেন সেঞ্চুরিও। সাড়ে তিনশো রানের পাহাড়কে অনায়াসে অতিক্রম করল মেইন ইন ব্ল্যাক।

এদিন ম্যাচ হারলেও শ্রেয়স আইয়ারের পারফরম্যান্স আগামী দিনের ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত করে দিল। জীবনের প্রথম সেঞ্চুরিতে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জায়গা করে নিলেন শ্রেয়স। পাশাপাশি এদিন ৫ নম্বরে নেমেও কেএল রাহুলের ব্যাটিং পারদর্শিতা আরও একবার প্রমাণ করে দিল যে কোনও জায়গায় খেলার জন্য তৈরি তিনি। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এক্সপেরিমেন্ট করে নিচ্ছে দল।

সম্পর্কিত পোস্ট