আম্ফান মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি প্রশাসনের

তিমধ্যেই নবান্নের তরফে, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর কলকাতা হুগলি হাওড়া জেলা শাসক দের সঙ্গে যোগাযোগ করে আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঠিক যে কায়দায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে নবান্ন। একইভাবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কোমর কষছে রাজ্য প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর কলকাতা হুগলি হাওড়া জেলা শাসক দের সঙ্গে যোগাযোগ করে আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, বন দফতর, সেচ দফতর ও দমকল দফতরকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে সংকট শুধু ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নয়। করোনাভাইরাসের সংকট কিন্তু এই জেলাগুলোতেও একটা বড় সমস্যা তৈরি করেছে।

আর সে কারণেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কিভাবে যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা করা যায় সেদিকে একটা ফুল প্রুফ প্ল্যান তৈরি করতে চাইছে নবান্ন।

এখনো পর্যন্ত নবান্নের কাছে যা খবর সোমবার রাত থেকেই ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। এরপর যত সময় এগোবে ঘূর্ণিঝড় তার প্রভাব দেখাবে। আর তাই প্রস্তুতি হিসাবে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে।

কলকাতা থেকে ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে আম্ফান, জারি হলুদ সতর্কতা

আম্ফান মোকাবিলায় প্রশাসনের পদক্ষেপ

  • ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনের তরফে মাইকিং শুরু করা হয়েছে।
  • ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় দফতরের প্রশিক্ষিত বাহিনীকেও।এখনো পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য রাজ্যের ৭ জেলায় সর্তকতা জারি করা হয়েছে।
  • একদিকে যেমন এর জন্য কলকাতায় বসেই মনিটরিং টিম নজরদারির কাজ করবে।
  • এছাড়া উপযুক্ত সাতটি জেলাতেই মোট ১৪ টি মনিটরিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে।
  • যাদের সঙ্গে ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ রাখছে নবান্ন।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের নির্দেশে গ্রাউন্ড লেভেলে আউটডোর ব্রডকাস্ট ম্যানেজমেন্ট তৈরীর চেষ্টা চলছে।

কি এই আউটডোর ব্রডকাস্ট ম্যানেজমেন্ট?

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকের কথায়, সমুদ্রে একটি নৌকা যেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ঝড়ের গতিবিধির উপর নজরদারি রাখা। তাকে ঘিরে থাকছে আর অন্যটি নৌকা। এই নৌকা গুলিতে থাকবে সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার।সেই ডাটা সংগ্রহ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এই গোটা সিস্টেমটা নাম আউটডোর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

  • যেহেতু ঘূর্ণিঝড় দীঘায় এসে হিট করার কথা রয়েছে, দেখার জন্যই সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার ২০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।
  • এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর শহরে রাখা হচ্ছে ১০০ জন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারকে।
  • একইসঙ্গে সিভিল ডিফেন্স রেস্কিউ টিম তৈরি রাখছে নবান্ন।
  • মোটের উপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি রাজ্য সরকার।

মৎসজীবীদের সতর্কতাঃ 

  • এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে উপকূলবর্তী জেলার সব মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে আগামী কয়েক দিন তারা যেন সমুদ্রে না যান।
  • এমনিতেই লকডাউনের কারণে সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
  • রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এদিন মৎস্যজীবীদের নৌকাগুলি সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
  • এই মুহূর্তে যারা কাঁচা বাড়িতে রয়েছেন তাদের দ্রুত সুরক্ষিত জায়গায় চলে যেতে বলেছে নবান্ন।
  • এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় তার ব্যবস্থা করতে।
  • পাশাপাশি যেখানে তাদের রাখা হবে সেক্ষেত্রেও সামাজিক দুরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেই রাখতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখেই জেলা প্রশাসন গুলিকে প্রচুর শুকনো খাবার বেবি ফুড এবং টিপল মজুদ রাখতে বলেছি বলা হয়েছে। মোটের উপর করোনার মতই আম্পানকেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মোকাবিলায় তৈরি রাজ্য প্রশাসন।

সম্পর্কিত পোস্ট