বয়স হার মেনেছে উদ্যমের কাছে , আজও বিদ্যুতের গতিবেগেই প্রাক্তন বিদ্যুত মন্ত্রী
রাহুল গুপ্ত
তাঁর সময়েই রাজ্যে কমেছে বিদ্যুতের মাশুল। বারবার লোডশেডিং -বিদ্যুৎ নেই এই ছবি পাল্টে দিয়েছিলেন তিনিই। নিজস্ব স্টাইলে জিতেছেন মানুষের মন। তিনি পরিবর্তনের সরকারের প্রথম বিদ্যৎ মন্ত্রী পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মনীশ গুপ্ত।
প্রাক্তন মুখ্যসচিব ভোট এ হারিয়ে দিছেন মুখ্যমন্ত্রীকে – বিরলতম এই ঘটনার সাক্ষী যাদবপুর বিধানসভা। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যসচিব মনীশ গুপ্ত হারিয়ে দেন তদানীন্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্যকে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় অথবা তৃণমূল কংগ্রেস এর সুনামি হয়তো ছিল, কিন্তু ১৬,৬৮৪ ভোটের ব্যাবধান গড়তে মনীশ গুপ্তর ব্যাক্তিগত কারিশমাও কাজ করেছিল।
ইন্টেলেক্চুয়াল বুদ্ধদেবের মোকাবিলা করার জন্যে একজন যোগ্য ইন্টেলেক্চুয়াল এর দরকার ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস মনীশ গুপ্তর মধ্যে সেই মানুষটিকে খুঁজে পায়।
প্রচারে ঝড় উঠেছিল তদানীন্তন মুখ্য সচিব হিসেবে ১৯৯৩ সালে মহাকরণ অভিযানের বিরুদ্ধে যিনি মুখ্যসচিব হিসেবে ফায়ারিং অর্ডার দিয়েছেন।
তিনি কি ভাবে তৃণমূলের প্রার্থী হন? শুধু তাই নয় , যে মানুষটা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সময়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন তাঁকে কিভাবে বাংলার মানুষ গ্রহণ করবেন ?
কিন্তু যাদবপুরের ভোটাররা মনীশ বাবুকেই বেছে নেয় বুদ্ধবাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবেই । মমতা বন্দোপাধ্যায় মনীশ গুপ্তর যোগ্য হাতে যখন পাওয়ার মিনিস্ট্রি তুলে দেন তখন তিনি জানতেন বাস্তুঘুঘুর বাসা ভেঙে মনীশ বাবু পারবেন বিদ্যুতের একটি সুষম বন্টন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। মনীশ বাবু পেরেওছিলেন।
বিদ্যুতকে সমবন্টনের আওতায় এনে সুষম একটি বন্টন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে. ২০১৬ তে দ্বিতীয়বার জয়ের পর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এর হাওয়ায় পদস্খলন হয় মনীশ বাবুর।
কিন্তু পরাজয় তাঁকে দমাতে পারেনি এতটুকুও। বয়সকে হার মানিয়ে আজও ৭৮ বছর বয়সে তিনি তৃণমূল স্তরে তৃণমূলের জন্যে কাজ করে চলেছেন অনবরত , সেই পুরোনো মেজাজে – নিজস্ব স্টাইলে।