বিজেপির শেষের শুরু” , গঙ্গপ্রসাদ শর্মার হতে পতাকা তুলে দিয়ে মন্তব্য মুকুলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। সোমবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়,  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের উপস্থিতিতে আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। এদিন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার সঙ্গে আটজন বিজেপি নেতা যোগ দেন তৃণমূলে।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি।  দীর্ঘ দুই বছর সাংসদ জণ বারলা আলিপুরদুয়ারের উন্নয়নের স্বার্থে কোনো কাজ করেননি। উল্টে এখন রাজ্যকে ভাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। উত্তরবঙ্গের মানুষ কখনই ভালোভাবে মেনে নেবে না। “

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,  ” নির্বাচনের সময় থেকেই পার্টির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তখন দল ছাড়লে গদ্দার বলতো আমায়। জেলা নেতৃত্বদের গুরুত্ব দেয়না বিজেপি। উত্তর বঙ্গে বিজেপি ফল ভালো করেছিল জেলার নেতাদের জন্যই। “

একইসঙ্গে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এদিন ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, এই পদ পাওয়ার অধিকার ছিল মনোজ টিগগার। বিজেপি কোনদিন নিজের দলের নেতৃত্বদের গুরুত্ব দেয়নি।

শুভেন্দু অধিকার কে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন “যদি উনি বিধায়ক না হতেন বা বিরোধী দলের নেতা না হতেন তাহলে আদৌ কি উনি বিজেপিতে থাকতেন?”
এর থেকে স্পষ্ট বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী কে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তৃণমূল থেকে এসে যেভাবে তিনি বিজেপিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনের সারিতে থেকে তাতেই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

নেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের যোগান, আজ থেকে রাজ্যে হচ্ছেনা ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ

তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রের খবর কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরো অনেক বিজেপি নেতৃত্ব যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। তাদের যোগ দেওয়া সময়ের অপেক্ষা।

যদিও আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি ভাঙ্গনের এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “টিএমসির ভয়ে অনেকে দল ত্যাগ করছেন।  যারা শিরদাঁড়া বিকিয়ে দিচ্ছেন তাদের দলে থাকার কোন প্রয়োজন নেই। “

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা মুকুল রায় জানান বিজেপির শেষের শুরু। কোভিদে মৃত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না কেন্দ্র। অথচ সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরিতে খরচ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে খোঁচা দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।

একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,  পশ্চিমবঙ্গ দিবস কেন পালন করছে? অন্যদিকে তারা রাজ্য ভাগের কথা বলছে। বাংলায় কোনভাবেই সিএএ-এনআরসি হতে দেব না।

সম্পর্কিত পোস্ট