২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, সরকার গড়ব আমরাঃ মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এই বছরের ২১ জুলাই রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। করোনা ও আমফানে বিপর্যস্ত বাংলা। অন্যদিকে ক্রমশ ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে।

একদিকে বাম-কংগ্রেস জোটের মুহুর্মুহু আক্রমন, অন্যদিকে বিজেপির স্লোগান ‘বদল চাই ও বদলা চাই’। সবমিলিয়ে সাঁড়াশী চাপে তৃণমূল। রাজনীতির মহারণে এবার কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী?  নজর থাকবে শাসক থেকে বিরোধী সকলেরই।

ভার্চুয়াল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণঃ

ধর্মতলায় সভা করতে না পেরে আমরা ব্যাথিত। হৃদয়ে ব্যাথা নিয়ে ভার্চুয়ালি এই সভা করছি। আগামী বছর সবচেয়ে বড় সভা হবে। সেই প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে হবে।

তবে বাংলার ৬২হাজার ৬০০ বুথে আজ আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা পালন করছেন শহীদ দিবস।

দেশের সমস্ত শহিদকে স্মরণ করছি। দেশে ভয়ে অনেকে কথা বলতে পারছেন না। মানুষ প্রতিবাদ করতে পারছে না।

আমফানের পরের দিন প্রধানমন্ত্রী এলেন এক ঘণ্টার জন্য দয়া করে। এক হাজার কোটি টাকা দিলেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে সে টাকা খরচ করে দিয়েছি।

আমপান হল, বিজেপির কী নাচানাচি বাপরে!  যাঁরা আমপানে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাবেন

বহিরাগতরা বাংলা চালাবে না। দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই বাংলাকে। বাংলাকে বদল করব তবে বদলা দিয়ে নয় মানবিকতা দিয়ে।

আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ বহু মানুষ। লকডাউন শুরুর আগেই আমরা ফ্রিতে রেশনের কথা ঘোষণা করেছি। তৃণমূল থাকলে সারাজীবন ফ্রিতে রেশন।

কোভিড চলছে বলে এনসিআর, এনপিআর ভুলে যাচ্ছি না। রাজ্য জুড়ে অপ-প্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা। হিন্দু-মুসলিম-শিখ-সর্ব ধর্ম নির্বিশেষে একসঙ্গে থাকবে বাংলায়।

আপনাদের রাজনৈতিক জন্মটা কোথায়। কখনও শুনিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রশাসন থেকে শিল্পী, সবাইকে আক্রমণ করা হচ্ছে।  দিল্লিতে কীভাবে মানুষ খুন আমরা ভুলিনি- বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার

মাটিতীর্থর পর মাটিসৃষ্টি প্রকল্প। কর্মসংস্থান হবে আড়াইলক্ষ গ্রামীন মানুষের।৪৬ লক্ষ মানুষকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা দিয়েছি।

কোভিডে প্রতিদিন টেস্ট হবে ১৩ হাজার। দৈনিক ২৫ হাজার টেস্টের টার্গেট। বাংলায় মৃত্যুর হার আরও কমাব। করোনা চিকিৎসায় ১৮ হাজার বেড আছে। আরও বাড়াব বেড।মাত্র ৫% রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক।

আমাদের রাজ্যে উপসর্গহীন রোগী ৮৭ শতাংশ। সামান্য উপসর্গ ৮ শতাংশ। গুরুতর সংক্রমণ ৫ শতাংশের। আমাদের ডিসচার্জ রেট ৬০ শতাংশ।

দিল্লি একটা ছোট্ট জায়গা। কলকাতার মতো। গুজরাত, ওড়িশা বাংলার অর্ধেক। অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা হয় না। উত্তরপ্রদেশ বড় রাজ্য, তার পরেই কিন্তু বাংলা। মনে রাখবেন।

রেলওয়ে টোটাল বিক্রি, কোল ইন্ডিয়া টোটাল বিক্রি, এয়ার ইন্ডিয়া টোটাল বিক্রি। কোভিডের নাম করে অনেক রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা মাইনে পাচ্ছেনা।

একমাত্র রাজ্য আমরা ১ তারিখে টিচারদের মাইনে দি। দারিদ্র দূরীকরণে আমরা প্রথম, একশো দিনের কাজে প্রথম বাংলা। ক্ষুদ্র শিল্পে এক নম্বর বাংলা।

একটি নির্বাচন হয়েছে। কয়েকটামাত্র সিট ওরা পেয়েছে। তার মধ্যেই রোজ অভিযোগ যাচ্ছে কেন্দ্র। এখানে নাকি আইন শৃঙ্খলা নেই। যান অন্য রাজ্যে দেখে আসুন।

কেন কাশ্মীর থেকে মৃতদেহ আনতে হবে রাজ্যকে? বাংলার শ্রমিকরা আপেল বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পুরুলিয়ার এক শ্রমিককে খুন করা হয়েছে ।

সারা দেশ জুড়ে তাণ্ডব হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে যা হচ্ছে তা জঙ্গলরাজ বললেও ভুল বলা হবে।

জনগন সাবধান। আপনাদের করছি আহবান। ওদের অনেক টাকা আছে। ওদের ভোট দিলে জীবন -জীবিকা সব হারাবেন।

নির্বাচনকে বিজেপি একটা নোংরা খেলায় পরিণত করেছে। টাকা দিয়ে ভোট কেনে। আর বিজেপির রাজত্বে কথায় কথায় বঞ্চনা, অসম্মান, চক্রান্ত।

সারা জীবন সিপিএমের হাতে মার খেতে খেতে আমার সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে।শান্তিতে ক’দিন কাজদ করতে পেরেছি। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয়নি। বঞ্চনা করেছে। কথায় কথায় অপমান করেছে।

দিদিকে বলোতে শুনে ৬ লক্ষ মানুষের পেনশন করে দিয়েছিলাম। আশাকর্মীদের মাইনে বাড়ানো হয়েছে।দেশে বেকারের হার বেড়েছে। এখানে সেই হার কমেছে।

গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি স্কলারশিপ আমাদের এখানের ভাই বোনরা পান। ২ কোটি ৩৮ লাখ ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপ পেয়েছে।

১ কোটি ৩৬ লক্ষের কর্মসংস্থান হয়েছে ক্ষুদ্র শিল্পে। বেকারের হার ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। শস্য বিমার টাকা দেয়।বাংলায় সরকার ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করব না।

টাকা দিয়ে সরকার ভাঙা হচ্ছে। কেন মধ্যপ্রদেশে, কর্ণাটকে, রাজস্থানে সরকার ভাঙা হবে। মনে রাখবেন গুজার বাংলা শাসন করবে না।বাংলার মানুষ বাংলা শাসন করবে।

২১ জুলাই দিচ্ছে ডাক, বিজেপি বাংলা থেকে বিদায় যাক। ২১ পথ দেখাবে ভারতবর্ষকে।

সম্পর্কিত পোস্ট