বিজেপি সন্ত্রাসবাদীদের দল, কটাক্ষ ফিরহাদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপিকে সন্ত্রাসবাদীদের দল বলে আখ্যা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।তিনি রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেছেন এদের যেন কোনওভাবেই বাংলার মাটিতে আশ্রয় দেওয়া হয়। তাহলে বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য দাঁতনের ঘটনায় রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একথা বলেন কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
দিলীপ ঘোষ দাঁতনের পরিযায়ী শ্রমিক খুনের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ক্ষমা করার কথা যাঁরা বলেন তারা কাপুরুষ। সমাধানের পথই হিংসা। দিলীপবাবুর এই বক্তব্যের প্রক্ষিতে সমালোচনা শুরু হয় সমাজের নানা মহলে।
এদিন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, কেউ যদি ভাবেন মন্ত্র জপ করলেই হিংসা শেষ হয়ে যাবে তাহলে তাঁরা ভুল ভাবছেন। লোকে তাঁকে নির্বোধ ভাববে। আপানি কি বলছেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুদ্ধ করে ভুল করেছেন, তাঁর প্যান্ডেল টানিয়ে হরিনাম কীর্তন করা উচিত ছিল বা রামের পুজো করা উচিৎ ছিল। যাঁরা কাপুরুষ তাঁরাই একমাত্র ক্ষমার কথা বলে। হিংসা ছাড়া পৃথীবিতে কখনোই কোনও সমাধান হয়নি। যে যেমন ভাষা বোঝে সেই ভাষায় কথা বলাই পৃথীবির দস্তুর। যে পারবে না সে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
এটিএম থেকে গায়েব লক্ষাধিক টাকা, চাঞ্চল্য বোলপুরে
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্যের জবাব দেন, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাফ কথা, তৃণমূল কংগ্রেস অহিংসায় বিশ্বাসী। অমারা ডানপন্থী দল গান্ধিজীর নীতিকেই অনুসরণ করি।
তাঁর কথায়, যাঁরা আজ হিংসার কথা, বদলার কথা বলছে তারাই তো জানে গান্ধিজীকে কারা মেরেছিল? নাথুরাম গডসের লোকেদের কাছ থেকে আমাদের কোনো জ্ঞান শুনতে হবে না। তবে, এটা ঠিক হিংসার মাধ্যমেই গুজরাতে ক্ষমতায় এসেছে এবং ক্ষমতায় আছে বিজেপি। তবে বাংলার মাটি খুব শক্ত মাটি। এ মাটি হিংসাকে সমর্থন করে না, বরং এ মাটি শান্তিকে সমর্থন করে।
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, দাঁতনের ঘটনায় আইন অনুযায়ী পুমিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যাঁরা দোষী তারা অবশ্যই শাস্তি পাক আমরা চাই। সেক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ দেখা উচিত হবে না। তাই বলে হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। বিজেপি নেতারা এই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের মতো অচরণ করছেন। ওটা সন্ত্রাসবাদীর দল।
তালিবানদের যেমন অন্য কোনও শিক্ষা নেই, তালিবানরা যেমন কেবল সন্ত্রাস করতে জানে, জৈইশ-ই মুহাম্মদ যেমন শুধু সন্ত্রাস করতেই জানে, মানুষকে খুন করতে জানে এদেরও তেমনই শিক্ষা। এরা সন্ত্রাসী। এদের বাংলায় ঠাঁই দিতে দেবেন না, তাহলে বাংলাটা শেষ হয়ে যাবে।