প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল পর্ষদ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। অবশেষে সেই ঘোষণা মতোই বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

রাজ্যে ফের নিয়োগ হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই হাসি ফুটেছে হাজার হাজার প্রার্থীর মুখে। আজ বুধবার থেকেই অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর।

পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রাথীরাই নথিপত্র যাচাই করার জন্য এই আবেদন করতে পারবেন।

টেট উত্তীর্ণ ২০১৮-২০ সালের ডিএলএডের চূড়ান্ত বর্ষের প্রার্থীরাও নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শুধু ডিএলএড নয়, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীরাও এই আবেদন করতে পারবেন বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।

পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদন করা যাবে  www.wbbpe.org  এই ওয়েবসাইটে।

এই ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করে টেটের রোল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিলেই নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য অন লাইন ফর্ম ফিলাপ করা যাবে।

যদিও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ হবে, কবেই বা শেষ হবে? তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পর্ষদের জারি করা বিজ্ঞিপ্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। সূত্রের খবর মোট সাড়ে ২২ হাজার টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী এখনও বসে রয়েছেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/saugat-gave-the-message-of-united-struggle-in-the-upcoming-assembly-by-blowing-the-fog-of-shuvendu/

যারমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো প্রাথমিকভাবে সাড়ে ১৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। বাকিদের পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে।

অন্যদিকে, ২০১৭ সালে টেটের জন্য আবেদনপত্র পড়ে রয়েছে প্রায় আড়াইলক্ষ। তাদের দ্রুতই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। এতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

অনেক প্রার্থী রয়েছেন যারা ডিএলএড প্রশি ক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণরত। এনসিটিই’র (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন) এর গাইডলাইন বলছে, টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার সময় প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা টেটে বসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কিন্তু, নতুন করে ফর্ম ফিলাপ না হলে স্বাভাবিকভাবেই সেই সুযোগ থাকবে না। তাহলে যারা ২০১৭ সালে আবেদন করেননি অথচ প্রশিক্ষণরত সেই সমস্ত প্রার্থীরা কি এবারের টেটে বসার সুযোগ পাবেন না! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সূত্রের খবর রাজ্যে ২০১৮-২০ এবং ২০১৯-২১ বর্ষের ডিএলএড প্রিক্ষণরত এরকম প্রার্থী রয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি। সেই সমস্ত প্রার্থীরাও এবারের টেটে বসার দাবি তুলেছেন।

ইতিমধ্যেই এবিষয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট