করোনা পরিস্থিতি দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই প্রতিনিধিদল যাবে। তবে অন্যান্য বারের মতো এই প্রতিনিধিদলে আমলারা নন, আসবেন চিকিত্সক এবং বিশেষজ্ঞরা।
এই প্রতিনিধিদলে থাকবেন দিল্লির এইমস, চন্ডিগড়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট এবং পুনের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞরা।স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় পৌঁছতে পারে এই প্রতিনিধিদল।
রাজ্যের একাধিক করোনা হাসপাতাল, কোয়ারান্টিন সেন্টার এবং সেফ হোম পরিদর্শন করবে এই দল। রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
কেন্দ্রের দাবি বিপর্যয়ের সময় রাজ্যগুলি কে সাহায্য করা কেন্দ্রের দায়িত্ব। তাই কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে। এর আগে দুইবার রাজ্যে পা পড়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর’র প্রতিনিধি দলের।
আবারও আসছে নয়া এক প্রতিনিধি দল। লক্ষ্য বাংলায় কোথায় কেমন ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে সে সম্পর্কে বিষদ তথ্য সংগ্রহ করা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাংলায় ১১টি জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলেছে। আবার কয়েকটি জেলায় সংখ্যায় বেশি হলেও তা গোষ্ঠী সংক্রমণের রূপ ধারন করেনি।
একই সঙ্গে রাজ্যে একই ব্যক্তি দুইবার করীনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এইসব কিছু দেখতেই ওই প্রতিনিধিদল আসছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই দলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
কারগিল শহিদ স্মরণঃ এবার দেশাত্মবোধক কবিতা পাঠ করলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
এপ্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী জানান, ‘শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব-সহ কোভিড অধ্যুষিত এলাকায় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেই সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ।
সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেও প্রয়োজনে পরিদর্শন করতে পারে কেন্দ্রীয় এই বিশেষজ্ঞ দল। আইসিএমআরের প্রতিনিধি দল মূলত কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিদর্শন করতে পারে। তবে দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।’
এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের সম্পর্কে বিশদে সরাসরি তথ্য জোগাড় করতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে মোবাইল অ্যাপ তৈরির পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর।
এই ভাবনাচিন্তা অবশ্য আগেই শুরু করে দিয়েছিল নবান্ন। এমনকি সেই অ্যাপ তৈরির জন্য সরকারি সংস্থা ওয়েবেলের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের।
ওয়েবেল সূত্রে জানা গিয়েছে শুধু আলোচনার স্তরেই সীমাবদ্ধ নেই সেই অ্যাপ তৈরির কাজ। বরঞ্চ তা অনেকটাই বাস্তবায়িত হতে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগস্ট মাসেই হয়তো সেই অ্যাপ বাজারে চলে আসবে। তাতে মুহুর্তের মধ্যেই রোগীদের হালহদিশ জানতে পারবেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।