ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরির্শনের পর নবান্নে বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
দ্য কোয়ারি ডেস্ক : আজ নবান্নে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দু’দিন ধরে ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন তারা। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি,দীঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমনি শঙ্করপুরসহ দক্ষিণ 24 পরগনা এবং সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনো বৃহৎ অংশের কৃষিজমির জলের তলায়।
পূর্ব মেদিনীপুরের বহু জমি এখন নোনা জলের তলাতেই রয়েছে। প্রায় 150 টির কাছাকাছি বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। প্রচুর বাড়ি ঘর ভেঙে গিয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আর্জি জানায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিগত দু’দিন ধরে ইয়াছে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
আজ নবান্নে বৈঠকের পর তারা সরাসরি দিল্লি ফিরে গিয়ে সেই রিপোর্ট জমা দেবেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরে। তারপরেই আর্থিক সাহায্য নিয়ে কেন্দ্রে তরফের ভাবনা চিন্তা করা হবে । ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরের দিনই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেন।
পরেরদিন হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলাইকুন্ডায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ মিটিং করার কথা থাকলেও নবান্ন তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকলে থাকবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলাইকুন্ডায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপরেই মুখ্য সচিবকে তলব করা হয় কেন্দ্রের তরফে। কেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। যা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তরজা চরমে ওঠে।
এদিনের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সরকারের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল আর্থিক ক্ষতির কি রিপোর্ট জমা দেয় তার ওপরই নির্ভর করবে রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদানের বিষয়টি। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্নের বৈঠক শুরু হওয়ার কথা তার পরেই জানা যাবে আজকের এই বৈঠক ফলপ্রসূ কিনা।