কেন্দ্রের তথ্য অস্পষ্ট, কমিটি গঠন করে পেগাসাস স্পাইওয়্যার তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রের তরফে দেওয়া তথ্যে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তাই কমিটি গঠন করে পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) । বুধবার পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) নিয়ে রায় ঘোষণার সময় এমনটাই জানালেন প্রধান বিচারপতি এনভিরামানা (CJI NV Ramana)।
তিন জনের কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রন। তিন বিশেষজ্ঞ কমিটির মধ্যে থাকছেন ডঃ নবীন কুমার চৌধুরী, ডঃ প্রবাহরন পি এবং ডঃ অশ্বিনী অনীল গুমাসতে।
অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে থাকছেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার আলোক যোশীএবং সন্দীপ ওবেরয়৷ এই কমিটির ওপর নজর থাকবে সুপ্রিম কোর্টের। আগামী দুই মাস পরে কী কী তথ্য জমা হল তা খতিয়ে দেখবে আদালত৷
এদিন পেগাসাস নিয়ে রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা সহ বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রের তরফে এক্সপার্ট কমিটি গঠন তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তা খারিজ করে দেওয়া হয়৷ প্রধান বিচারপতি বলেন এতে আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷
এদিন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল আদালত। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট। তাতে আমাদের কাজের সুবিধা হত৷ কিন্তু এভাবে সর্বদা জাতীয় সুরক্ষার অজুহাতে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
গোটা বিষয়টিতে জনগণের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিষয়টিতে বৈদেশিক কোনও সংস্থা যুক্ত থাকার বিষয়টিও বারবার উঠে আসছে। আদালত নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না। তাই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল আদালত৷
সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, সিপি(আই)এম মন্ত্রী জন ব্রিটাস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমএল শর্মা এবং এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া সহ সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবে তদন্তের জন্য আবেদন জানান।
প্রত্যেকেই আদালতের কাছে জানিয়েছিলেন, ইজরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার সরকার বেআইনিভাবে ব্যবহার করছে কী না। যদিও আদালতকে দেওয়া হলফনামায় বিস্তারিত কিছুই জানায়নি কেন্দ্র সরকার ৷ বরং এটি জাতীয় সুরক্ষার বিষয় বলে আদালতের কাছে জানিয়েছে কেন্দ্র।