প্রধান বিচারপতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে

অনন্যা ব্যানার্জি: – কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি ১৪ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে চূড়ান্ত নিন্দা এবং উদ্বেগের কথা বলেছেন।সরকারের যিনি আইনজীবী ছিলেন তাকে প্রশ্ন করেছেন যে আপনি শহরে জন্মেছেন , আপনার ও ব্যথা লাগার কথা । পীড়িত, নিপীড়িত, নির্যাতিত, ধর্ষিতা যে চিকিৎসক এর ধর্ষণ ও খুন হয়েছে তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে ১০ হাজার লোক ছিল না ৭ হাজার লোক ছিল না ১ হাজার লোক ছিল না ১০০ ছিল এটা পুলিশের জানার কথা ; এটা না জানলে বা তদন্ত ঠিক মত না করলে পুলিশের গোয়েন্দা ব্যর্থ , নিষ্ফল ।কারণ এখানে তথ্য প্রমাণের বিষয় আছে । সেখানে হাসপাতালে ঢুকে পড়ল কারা? এরা কি ভাবে ঢুকলো? ঢুকে এত কিছু হয়ে গেলো পুলিশ মার খেলো, সেমিনার হল থেকে শুরু করে সব ভেঙে তছনছ করে দিলো প্রমাণ লুকোতে পুলিশ কিছু করতে পারল না কেনো ? আবার পুলিশ আহত হয়েছে তাহলে এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে নিরাপত্তার প্রশ্ন নিয়ে জিজ্ঞাস্য থেকেই যাচ্ছে ! তিন তলা তে উঠতে পারেনি বা পারার চেষ্টা ও হয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি যেখানে আসল তথ্য আছে । পাশাপাশি সিবিআই কে দেখতে বলেছে পুরো বিষয়টা খুঁটিয়ে , তদন্ত করে । কলকাতা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ কেও বলা হয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতি কড়া মন্তব্য করেন , যদি এই ভাবে চলতে থাকে তাহলে অন্যএ আবার এক ই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যাবে যদি পুলিশ নিজেরা নিরাপত না হয়। সওয়াল জবাবে বলেন কলকাতা পুলিশের ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে , মাথা ফেটে গেছে এছাড়াও আরো জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে ।তাহলে এরা কারা? কি ভাবে এদের ধরা যাবে ? কিভাবে চিহ্নিত করা যায় এব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা কি ? এরও পাশাপাশি তীব্র ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি তার শুনানি তে রাজ্যে সরকারের এবং কলকাতা পুলিশকে যে আমরা এই হাসপাতাল বন্ধ করে দিচ্ছি তাহলে কি ভালো হবে ? আর রুগীদের অন্যএ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাহলে দেখা যায় , প্রধান বিচারপতির হাইকোর্টে টান টান উত্তেজনা ছিল। পুলিশের নিরবতা, নিষ্ক্রিয়তা , গাফিলতি আর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রধান বিচারপতি একরাশ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ।