সীমান্ত এলাকায় লরি দাঁড় করিয়ে তোলাবাজি , তিন দিনের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ট্রাক টার্মিনালের আড়ালে তোলা আদায় বন্ধ করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে। কলকাতায় আজ রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সীমান্তবর্তী এলাকায় ট্রাক পার্কিং এবং সংশ্লিষ্ট শুল্ক আদায়ের দ্বায়িত্ব কেন্দ্রীয় ভাবে পরিবহন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

কোথাও বেসরকারি উদ্যোগ কোথাও পুরসভা এইসব টার্মিনাস পরিচালনার দায়িত্বে আছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,সীমান্তে ট্রাক টার্মিনাসে কেউ কেউ টাকা তুলছেন, এতে ব্যক্তির পকেট ভরলেও সরকারের কোষাগারের কোনও সুবিধা হচ্ছে না। তাই ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সীমান্ত সংলগ্ন সমস্ত ট্রাক টার্মিনাস পরিবহণ দফতর হাতে নিয়ে নেবে।

মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান ট্রাক টার্মিনাস হস্তান্তরের বিষয়ে ইতিমধ্যেই সাতটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় পার্কিং তৈরি করা হবে তার জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।দিনকয়েক ধরে অভিযোগ উঠেছে সীমান্ত এলাকায় লরি দাঁড় করিয়ে তোলাবাজি চলছে। টাকা দিতে না পারলে লরিচালককে হেনস্তা করা হয় বলেও দাবি।

মুখ্যসচিব জানান, এ বিষয়ে সাতটি জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকরা ছিলেন। যোগ দেন মন্ত্রীরাও। বনগাঁ পুরসভার দু’টি এবং তিন-চারটি বেসরকা ট্রাক টার্মিনাস রয়েছে। মুখ্যসচিবের দাবি, বনগাঁ পুরসভা একটি এনওসি দিয়েছে। তবে সেটিতে কিছু ভুল ত্রুটি রয়েছে।

UNESCO heritage Durgapujo : রাজ্য জুড়ে একমাস ব্যাপী স্বীকৃতি উদযাপন

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, বনগাঁ পুরসভার তরফে যেটি দেওয়া হয়েছে, সেটি কোনও এনওসি-ই নয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, “কোনও পুরসভা এনওসি না দিলে বা ভুল থাকলে ডায়রেক্ট করে দেবে।” আগামী তিন দিনের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মখ্যমন্ত্রীর।

অন্যদিকে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত দফতরের আধিকারিক দের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ওপর তলার আধিকারিকরা নীচের দিকে কাজ ঠেলে দেন এবং বলেন কাজ হয়ে গিয়েছে। এটা চরম অবহেলা। নিজের দফতরের কাজের দিকে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নজর দিতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট