সাধারণ মানুষকে অঙ্গদানের জন্য উৎসাহিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জীবনের শেষ পরিণতি অবশ্যই মৃত্যু। কিন্তু মানুষ মারা গেলেই তাঁর দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি সঙ্গে সঙ্গেই নষ্ট হয়ে যায় না। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরেও সেগুলি কার্যক্ষম থাকে। সেই সব অঙ্গপ্রতঙ্গ যদি দ্রুত অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায় তাহলে তা ব্যবহার করা যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্ব অঙ্গ দানের দিন। আর এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানালেন বেশ কয়েক বছর আগে তিনি নিজেই তাঁর চোখ জোড়া দানপত্র করে গিয়েছেন।

অঙ্গদান যে জীবন দানের সমান তা সাধারন মানুষকে জানাতেই রাষ্ট্রসংঘ প্রতি বছর ১৩ আগস্ট বিশ্ব অঙ্গদান দিবস পালন করে।

একই সঙ্গে লক্ষ্য থাকে বিশ্বজোড়া মানুষকে সচেতন করে তুলতে যাতে তাঁরা সচেতন ভাবে নিজ নিজ দেহের অঙ্গ আগে থেকেই দানপত্র করে দিয়ে যাতে পারেন এবং তা যেন নিজ পরিবারের সদস্যদের জানিয়েও যেতে পারেন।

আসলে মৃত্যুর প্রথম ৬ ঘন্টার মধ্যেই মৃতদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকঠাক থাকে। তার পর থেকে কিন্তু তা নষ্ট হতে শুরু করে। এই ৬ ঘন্টার মধ্যেই অঙ্গ প্রতঙ্গ সংগ্রহ করে প্রতিস্থাপনের কাজ সেরে ফেলতে হয়।

সংক্রমণ অব্যাহত লালবাজারে

একমাত্র চোখ কিছুদিন ফ্রিজ করে রাখা যায়। তাই মানুষকে যতটা সম্ভব এই বিষয়ে যতটা বেশি সচেতন করে তোলা যায় ততই মঙ্গল।

এমন অনেক ঘটনা আমাদের দেশে বা বাংলায় এমনকি কলকাতার বুকে ঘটে যেখানে অঙ্গ বা চোখ দান করা থাকলেও মৃতের পরিবার তা দিতে চান না। তাই এক্ষেত্রে সচেতনতা ভীষণ প্রয়োজন। আসেই সচেতনতার বার্তাই কিন্তু এদিন সকালে নিজেই ট্যুইট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি ট্যুইট করে লেখেন যে, ‘আজ বিশ্ব অঙ্গ দান দিবস। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সবসময় মৃত্যুর পরে অঙ্গ দানকে উৎসাহিত করে থাকে।

দেশের মধ্যে বাংলা সেই সব রাজ্যগুলির মধ্যে একটি যারা সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়মিত ভাবে গ্রিন করিডর করে দ্রুত অঙ্গের পরিবহণের ব্যবস্থা করে থাকে।

আমিও আমার দুই চোখ অনেক দিন আগেই দান করে দিয়েছি।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে রাজ্যবাসীকে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে তুলবে বলেই আশা করা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট