শান্তিনিকেতনে আদিবাসী গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে ঘরের মেয়ের ভূমিকার মুখ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কলকাতায় ফেরার হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছিল হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে গেলেন বোলপুর লাগোয়া আদিবাসী গ্রামে।
সাধারণ মানুষ, মহিলাদের সঙ্গে কথা বললেন। জীবনযাত্রা, অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে শুনলেন মন দিয়ে। একটি দোকানে ঢুকে তরকারি রান্নার কড়াইতে খুন্তি পর্যন্ত নাড়লেন তিনি।
ভোটব্যাঙ্কে আদিবাসীদের প্রভাব লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল। এবার সেই আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের কাছে নিয়ে আসার জন্য মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার বার্তা দিচ্ছেন, ‘তোমাদের ঘরের মেয়ে, দিদি’। একথাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বেলা বারোটা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন বোলপুর লাগোয়া বল্লভপুর গ্রামে। অধিকাংশ পুরুষ, মহিলা সে সময় কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঝটিকা সফর করেছেন এই গ্রামে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/several-died-after-aden-airport-terminal-blast/
তাঁকে দেখেই সাধারণ মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। কাজে যাওয়া পুরুষ-মহিলাদের কাছেও খবর পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন গ্রামে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামের একটি দোকানে তরকারি রান্না হচ্ছে।
বাঁশের তৈরি বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বসে অপেক্ষা করেন। এরপর হঠাৎ করেই উঠে গিয়ে খুন্তি দিয়ে তরকারি নাড়াচাড়া পর্যন্ত করেছেন। বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি একদম সাধারণ মানুষ।
গ্রামের মানুষরা বেশ কিছু অভাব-অভিযোগের কথা বলেন। বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পে টাকা পৌঁছয়নি ঠিক করে। অনেকের বাড়ি হয়নি। পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। একটি মাত্র পুকুর এলাকায়। জলকষ্ট থাকছে নিত্য বছর।
এই সমস্ত কিছু জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করতে বলেন। সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সাধারণ মানুষ উদ্বুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী এভাবে তাদের কাছে পৌঁছে যাওয়ায়।
বেশ কিছুটা সময় আদিবাসীদের সঙ্গে কাটিয়ে হেলিকপ্টার ধরে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে কয়েক লক্ষ মানুষকে নিয়ে পদযাত্রা করেছিলেন।